গল্প -সবর, পর্ব-৫
-------------
আয়শা অনেকটা হালকা মন।এখন তার বাচ্ছা মারা যাওয়াটা সে আল্লাহর করুণা দয়া মনে করে।নিজেকে সৌভাগ্যবতী মনে করে।
বিকেল ৫টা।
(আয়শা নামাজ শেষ করে বেলকনিতে দািড়য়ে গুণ গুণ করে গজল গায়ছিল।
(আয়শা নামাজ শেষ করে বেলকনিতে দািড়য়ে গুণ গুণ করে গজল গায়ছিল।
প্রশংসা সবই কেবল তোমারী
প্রশংসা সবই কবল তোমারী
রাব্বুল আলামিন,,,,
প্রশংসা সবই কবল তোমারী
রাব্বুল আলামিন,,,,
দয়ালু মেহেরবান, করুণা অফুরাণ
দয়ালু মেহেরবাণ,করুণ অফুরাণ
আর কেউ নই তুমি মালিক
শেষ বিচারের দিন,শেষ বিচারের দিন।)
গজল গায়ছিল আর মনে মনে হাসছিল।
দয়ালু মেহেরবাণ,করুণ অফুরাণ
আর কেউ নই তুমি মালিক
শেষ বিচারের দিন,শেষ বিচারের দিন।)
গজল গায়ছিল আর মনে মনে হাসছিল।
আয়শার মা মেয়েকে প্রায় ১মাস পর হাসতে দেখে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেন।আমার মেয়ে টা তাহলে আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হচ্ছে।
আয়শা মাগরিব নামাজ পড়ে তার মায়ের রুমে যায়।
আম্মু,আম্মু,,,,,,
-বল কি?
-আমি কখন যাবো?
-কোথায়?
-কোথায় মানে?শ্বশুড় বাড়ি।
-তোকে তো আমার সিদ্ধানন্ত জানিয়ে দিয়েছি।আমি আর যেতে দিবোনা তোকে
-যেতে না দিয়ে কি করবা?
-আমি তোর অন্য দিকে ব্যবস্থা করবো।ওরা আমার একটা ওয়াদাও রাখেনি।তোকে জোর করে ছেলের বউ বানিয়েছে।আমি বিয়ে দিতে চায়নি।
-আমাকে কি সারাজিবন রেখে দিতে?
-না,আরো পড়াশুনা করাতাম।ওরা এখন তোকে পড়াবে ওয়াদা করেও পড়ায়নি।কাজ করাবেনা বলেও বিয়ের পরের দিন কাজে লাগায় দিছে।তুই আমাকে কিছু না বললেও আমি সব জানি।যাবিনা এই হলো কথা।
-কেন মা?-কেন আবার কি?ইসলামে তো জুলুম স্বীকার করতে বলেনি।আর তালাকেরও বিধান আছে।তুই আমার একটি মাত্র মেয়ে।
(আয়শা ভাবছে মা তুমিতো কিছুই জানোনা।আমি চায়নি তুমি চিন্তা করো,বা আর কারো গীবত হোক,সবটা জানলেতো আমাকে দু মাসেই নিয়ে নিতে)
-তুই যায় বলিস আমি আর দিবনা তোকে ব্যস।
-তুই যায় বলিস আমি আর দিবনা তোকে ব্যস।
(আয়শা চিন্তায় পড়ে গেলো মা তো রেগে গেলেন কিভাবে বুঝানো যায়?নাহ,মাকে যুক্তি দিয়ে ইমোশনালি ব্ল্যাকমেইল করতে হবে।)
-আচ্ছা,মা তোমার সিদ্ধান্ত মানলাম আমাকে অন্য দিকে বিয়ে দিবা বা তালাকের জায়েজ আছে।কিন্তু তুমি একটা কথা গ্যারান্টি দিয়ে পারবা যে আমি ২য় বিয়েতে সুখি হবো?বা সেই মানুষগুলো খুব ভাল হবে তাদের কোন ভুল থাকবেনা?
-অন্তত নসীবে কি আছে তা তো দেখতে পারি।
-যদি দেখো যে সেখানে এরচেয়েও দ্বিগুণ অশান্তি তখন কি হবে?তুমি আমার বান্ধবী মিম কে তো চিনো?
-হ্যা,চিনি
-মিমের বোন বড়টার বিয়ে হয় আজ থেকে প্রায় ছয় বছর আগে।পারিবারিক কিছু জামেলার জন্য বিয়ের ৮মাসের মাথায় মা বাবা মেয়ে নিয়ে নেয়।তাই মিমের বোনের দু মাসের ভ্রুনটাও তারা এ্যাভরশন করে ফেলে।এরপর আরো দু বোনের বিয়ে হয়ে বাচ্ছাও হয়ে যায়।কিন্তু বড় বোনের সোনালি ৬টা বছর হারিয়ে যায় ভাল পাত্র মিলেনা।মিললেও ২,৩তিন ছেলের বাবা,বা আগের এক স্বতিন আছে এরকম।
অবশেষে গত বছর ১ছেলের বাবার সাথে বিয়ে দিতে বাধ্য হয়।কিন্তু এই পরিবারে নাকি তার বোনকে ভাল ভাবে খেতেও দেয়না।তার বোন কান্নাকাটি করে মা বাবা কে বলে কেন তাকে আগের বিয়েতে ডিভোর্স করায় সেই পরিবার তো এটার চায়তে হাজারগুণ ভাল ছিল।এখন মা বাবা আর কি বলবে সবর করতে বলে।
এই সবর করতে বলাটা যদি তারা ১ম বিয়েতে করতে বলতো তাহলে তার জিবন থেকে সোনালী ৬টা বছর হারিয়ে যেতনা।বা তার এখন ৬বছরের একটা বেবি থাকতো।
-কি বলিস?
-হ্যা মা,মিমের সাথে আমার সব কথা হয়।
-তো এখন কি করবে?
-কি করবে আর আরো দ্বিগুণ কষ্ট সহ্য করে থাকতে হবে।এতবার বিয়ে হলেও তো মানসম্মানের ক্ষতি।
-হুম,
-শুনো মা,আল্লাহ যেরকম তালাকের বিধান দিয়েছেন সেরকম সবরের আদেশ ও দিয়েছেন।দেখ মা,,,
-আচ্ছা,মা তোমার সিদ্ধান্ত মানলাম আমাকে অন্য দিকে বিয়ে দিবা বা তালাকের জায়েজ আছে।কিন্তু তুমি একটা কথা গ্যারান্টি দিয়ে পারবা যে আমি ২য় বিয়েতে সুখি হবো?বা সেই মানুষগুলো খুব ভাল হবে তাদের কোন ভুল থাকবেনা?
-অন্তত নসীবে কি আছে তা তো দেখতে পারি।
-যদি দেখো যে সেখানে এরচেয়েও দ্বিগুণ অশান্তি তখন কি হবে?তুমি আমার বান্ধবী মিম কে তো চিনো?
-হ্যা,চিনি
-মিমের বোন বড়টার বিয়ে হয় আজ থেকে প্রায় ছয় বছর আগে।পারিবারিক কিছু জামেলার জন্য বিয়ের ৮মাসের মাথায় মা বাবা মেয়ে নিয়ে নেয়।তাই মিমের বোনের দু মাসের ভ্রুনটাও তারা এ্যাভরশন করে ফেলে।এরপর আরো দু বোনের বিয়ে হয়ে বাচ্ছাও হয়ে যায়।কিন্তু বড় বোনের সোনালি ৬টা বছর হারিয়ে যায় ভাল পাত্র মিলেনা।মিললেও ২,৩তিন ছেলের বাবা,বা আগের এক স্বতিন আছে এরকম।
অবশেষে গত বছর ১ছেলের বাবার সাথে বিয়ে দিতে বাধ্য হয়।কিন্তু এই পরিবারে নাকি তার বোনকে ভাল ভাবে খেতেও দেয়না।তার বোন কান্নাকাটি করে মা বাবা কে বলে কেন তাকে আগের বিয়েতে ডিভোর্স করায় সেই পরিবার তো এটার চায়তে হাজারগুণ ভাল ছিল।এখন মা বাবা আর কি বলবে সবর করতে বলে।
এই সবর করতে বলাটা যদি তারা ১ম বিয়েতে করতে বলতো তাহলে তার জিবন থেকে সোনালী ৬টা বছর হারিয়ে যেতনা।বা তার এখন ৬বছরের একটা বেবি থাকতো।
-কি বলিস?
-হ্যা মা,মিমের সাথে আমার সব কথা হয়।
-তো এখন কি করবে?
-কি করবে আর আরো দ্বিগুণ কষ্ট সহ্য করে থাকতে হবে।এতবার বিয়ে হলেও তো মানসম্মানের ক্ষতি।
-হুম,
-শুনো মা,আল্লাহ যেরকম তালাকের বিধান দিয়েছেন সেরকম সবরের আদেশ ও দিয়েছেন।দেখ মা,,,
★ মহান আল্লাহ বলেন, “হে ঈমানদারগণ! তোমরা ধৈর্য ধারণ কর এবং ধৈর্য ধারনের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা কর” (সূরা আল ইমরানঃ ২০০ আয়াত)।
“আমি অবশ্যই তোমাদেরকে ভয় ক্ষুধা এবং তোমাদের জান, মাল ও শস্যের ক্ষতি সাধন করে পরীক্ষা করব।(এ পরীক্ষায়) ধৈর্যশীলদেরকে সুখবর দাও”(সূরা বাকারাঃ ১৫৫ আয়াত)।
“আমি অবশ্যই তোমাদেরকে ভয় ক্ষুধা এবং তোমাদের জান, মাল ও শস্যের ক্ষতি সাধন করে পরীক্ষা করব।(এ পরীক্ষায়) ধৈর্যশীলদেরকে সুখবর দাও”(সূরা বাকারাঃ ১৫৫ আয়াত)।
মাঝে মাঝে আমিও যখন হতাশ হয়ে যায় তখন মন বিষন্ন হয়ে যায়।সব কিছু ছেড়ে দিতে ইচ্ছা করে।কিন্তু পরক্ষণেই যখন সুরা বাকারার এই আয়াতটি মনে পড়ে তখন তওবা করি কেননা আল্লাহ তো সবরকারীদের সাথেই।
★ “ধৈর্য ও নামাযের মাধ্যমে তোমরা সাহায্য প্রার্থনা কর। আল্লাহ নিশ্চয় ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন” (সূরা বাকারাঃ ১৫৩ আয়াত)।
“আমি তোমাদেরকে পরীক্ষা করব, যাতে তোমাদের মধ্যকার মুজাহিদ ও ধৈর্যশীলদেরকে চিনে নিতে পারি” (সূরা মুহাম্মাদঃ ৩১ আয়াত)।
মুমিন বান্ধাদের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ধৈর্য্য।
★ “ধৈর্য ও নামাযের মাধ্যমে তোমরা সাহায্য প্রার্থনা কর। আল্লাহ নিশ্চয় ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন” (সূরা বাকারাঃ ১৫৩ আয়াত)।
“আমি তোমাদেরকে পরীক্ষা করব, যাতে তোমাদের মধ্যকার মুজাহিদ ও ধৈর্যশীলদেরকে চিনে নিতে পারি” (সূরা মুহাম্মাদঃ ৩১ আয়াত)।
মুমিন বান্ধাদের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ধৈর্য্য।
আর কোন গ্যারান্টিও নাই যে ২য় বিয়েতে ১০০% সুখি হবো।তাই শুধু শুধু নিজের জিবনকে অনিশ্চয়তায় ফেলে লাভ কি?
-আয়শাকে জড়িয়ে ধরে আয়শার মা কান্না করে দেয়।আমার আয়শা এত বড় হয়েগেছে?
এত বুঝদার আলহামদুলিল্লাহ। তোর কথা মতই হবে সব।
-আয়শাও মাকে জড়িয়ে ধরে মা তাহলে আমি কালকেই চলে যায়?
-আচ্ছা,তোর বাবা কি বলে দেখি।
এত বুঝদার আলহামদুলিল্লাহ। তোর কথা মতই হবে সব।
-আয়শাও মাকে জড়িয়ে ধরে মা তাহলে আমি কালকেই চলে যায়?
-আচ্ছা,তোর বাবা কি বলে দেখি।
পরেরদিন ওই আয়শা চলে যায় শ্বশুড় বাড়ি।
আয়শার দেবরের বিয়ে তাই সবাই দৌড়াদৌড়িতে আছে।আয়শাও বিয়ে নিয়ে ব্যস্ত।
চলবে,
আয়শার দেবরের বিয়ে তাই সবাই দৌড়াদৌড়িতে আছে।আয়শাও বিয়ে নিয়ে ব্যস্ত।
চলবে,
লিখা:ফাতিমার আম্মি।
tag
0 coment rios: