গল্প সবর-পর্ব-৩
--------------
রুমে এসেই জেরা শুরু করে দেয় তার স্বামি।আচ্ছা তোমার কি লাজ লজ্জা বলতে কিছুই নেই?
আয়শা-কি বলছেন আপনি?
-তোমার মাথায় কি একটু আসলনা আমি যে আড়ি পেতে কথা শুনতে যাবো কেউ যদি দেখে ফেলে তাহলে তো কেলেঙ্কারি হয়ে যাবে।
-আপনি এসব কি বলছেন?আমি কেন শুনতে যাবো?
-ওহ কিছু বুচ্ছনা এখন?নাকি বুজেও না বুুজার ভান ধরে আছো?বার বার তোমার জন্য আমিও অপমানিত হয়।
-সত্য বলছি আমি জানিওনা মহিলাটি কে?কেন এসছে বা উনারা যে রুমে ছিল আমি সেটাও খেয়াল করিনি।
-তাহলে গেলে কেন?আমি বেলকনিতে থেকে কাপড় আনতে গেছিলাম।-হু,এক ডিলে দুই পাখি মারা হয়ে যাবে সে উদ্দেশ্যে?আয়শা আর না পারতে কসম কেটে বলে।তাও তার স্বামি অবিশ্বাস করে।
-শুনো মানুষ যখন ধরা খায়না,তখন নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে এরকম হাজার কিছু বলতেও রাজি।এবার আয়শা চুপ হয়ে যায়।
কি বলবে সে আর কিছু বলার নাই।
এই সুত্র ধরে মহিন তিনদিন ফিরেও তাকায়নি আয়শার দিকে।
বিয়ের ১মাসের সময় তার মা পায়েস পাঠায় ২কলসি।
মাত্র দু কলসি আমি কাকে দিয়ে কাকে খাওয়াবো?আমার পাড়াপড়শি আত্মীয় স্বজন সবার কি এই দুই কলসি পায়েস এ হবে?
এই মহিন এগুলো গাছের গুডায় ডেলে দে।
এত কম জিনিস দেওয়া মানে আমাকে অপমান করা।খাবওনা, খাওকে দিবওনা।
এই মহিন এগুলো গাছের গুডায় ডেলে দে।
এত কম জিনিস দেওয়া মানে আমাকে অপমান করা।খাবওনা, খাওকে দিবওনা।
মহিন-আমি বলবো অন্যসময় নাহয় সবার হয় মত দিবে।
-চুপ একদম?বউ তো দেখি তুর মাথা একদম গিলে খেয়েছে?
-না মা,এগুলো অপচয় হবে তাই।
-আরে অপচয় না কাক পাখি খেয়ে নিবে যেটা বলছি সেটা কর।এভাবে শিক্ষা না দিলে বার বার অল্প অল্প জিনিস দিবে।
-চুপ একদম?বউ তো দেখি তুর মাথা একদম গিলে খেয়েছে?
-না মা,এগুলো অপচয় হবে তাই।
-আরে অপচয় না কাক পাখি খেয়ে নিবে যেটা বলছি সেটা কর।এভাবে শিক্ষা না দিলে বার বার অল্প অল্প জিনিস দিবে।
আয়শার বুক কেঁপে উঠে।
আহহ,কত এতিম তো না খেয়ে থাকে তাদের নাহয় দিয়ে দিক।
আহহ,কত এতিম তো না খেয়ে থাকে তাদের নাহয় দিয়ে দিক।
মহিনের ফোন আসাতে রুমে আসলে মহিনকে হাত জোর করে বলে প্লিজ এই খাবার গুলো অপচয় করবেননা।পাশের এতিম মাদ্রাসায় হলেও দিয়ে দিন।
মহিন চোখ রাঙ্গিয়ে বলে মা যা বলছে তাই হবে।
মহিন চোখ রাঙ্গিয়ে বলে মা যা বলছে তাই হবে।
মা এখনো উঠোনে দাড়িয়ে আছে।
মহিন এক কলসি ডেলে দেয় গাছের গোড়ায় তার ও খুব মায়া কষ্ট লাগছিল খাবারগুলোর জন্য তারপরো মায়ের কথাও তো রাখতে হবে।এক কলসি ডালার পর মহিনের মার মেজাজ ঠান্ডা হলে ঘরে চলে যান
মহিন এক কলসি ডেলে দেয় গাছের গোড়ায় তার ও খুব মায়া কষ্ট লাগছিল খাবারগুলোর জন্য তারপরো মায়ের কথাও তো রাখতে হবে।এক কলসি ডালার পর মহিনের মার মেজাজ ঠান্ডা হলে ঘরে চলে যান
মহিন মাকে ঘরে চলে যেতে দেখলে আরেক কলসি পাশের এতিম মাদ্রাসায় দিয়ে চলে আসে।দু তলায় বেলকনি থেকে আয়শা সব দেখে থাকল।পায়েস গুলো ডালার সময় তার মার ঘামে ভরা চেহেরাটা ভেসে উটলো।এত পায়েস করতে মার নিশ্চয় অনেক কষ্ট হয়েছে চুলায় বসে থাকতে অনেক ঘাম ও ঝরিয়ে পড়েছে।
কিন্তু পরক্ষণেই যখন দেখল মহিন আরেক কলসি নিয়ে বাহিরে যাচ্ছে তখন তার কষ্টটা দুর হয়ে গেলো।যাক,অন্তত এতিমরা খেয়ে তো দু আ করবে।
কিন্তু পরক্ষণেই যখন দেখল মহিন আরেক কলসি নিয়ে বাহিরে যাচ্ছে তখন তার কষ্টটা দুর হয়ে গেলো।যাক,অন্তত এতিমরা খেয়ে তো দু আ করবে।
আয়শা নিচে নেমে দেখে তার শ্বাশুড়ি বসে আছে।কারেন্ট ও চলে গেল।
দ্রুত গিয়ে ঠান্ডা পানি দিয়ে শরবত বানিয়ে আনল।
আয়শা -মা শরবত খান।
-আমাকে শরবত খাওয়াচ্ছ? তোমার মাকে এখন মোবাইল করে বলো এসব অল্প জিনিস যাতে না দেয়।দিলে সব আত্মীয় স্বজন পাড়া পড়শিকে সহ দিয়ে খেতে পারি মত দিতে।
আমি যত জিনিস আমার মেয়ের বারিতে দিয়েছি এর থেকে ২গুণ।
এটা বলতেই মোবাইলটা আয়শার দিকে দেয়।
দ্রুত গিয়ে ঠান্ডা পানি দিয়ে শরবত বানিয়ে আনল।
আয়শা -মা শরবত খান।
-আমাকে শরবত খাওয়াচ্ছ? তোমার মাকে এখন মোবাইল করে বলো এসব অল্প জিনিস যাতে না দেয়।দিলে সব আত্মীয় স্বজন পাড়া পড়শিকে সহ দিয়ে খেতে পারি মত দিতে।
আমি যত জিনিস আমার মেয়ের বারিতে দিয়েছি এর থেকে ২গুণ।
এটা বলতেই মোবাইলটা আয়শার দিকে দেয়।
আয়শা অনিচ্ছা সত্বেও শ্বাশুড়ি মায়ের সামনে মাকে কল দেয়।
আয়শা - আসসালামু আলায়কুম
- হ্যা,কেমন আছিস?
-ভাল,আম্মু পায়েস তো সবার হয়নি।এবার থেকে আরো বেশি করে দিও
এটা বলেই লাইন কেটে দেয়।
ওদিকে আয়শার মা চিন্তায় পড়ে যায়।আর কল ও ব্যাক করতে পারেনা কেননা আয়শাকে মোবাইল দেয়নি।শ্বাশুড়ির মোবাইল থেকেই কথা বলতে হয়।
আয়শা - আসসালামু আলায়কুম
- হ্যা,কেমন আছিস?
-ভাল,আম্মু পায়েস তো সবার হয়নি।এবার থেকে আরো বেশি করে দিও
এটা বলেই লাইন কেটে দেয়।
ওদিকে আয়শার মা চিন্তায় পড়ে যায়।আর কল ও ব্যাক করতে পারেনা কেননা আয়শাকে মোবাইল দেয়নি।শ্বাশুড়ির মোবাইল থেকেই কথা বলতে হয়।
সন্ধ্যায় আয়শা ভাবছে মা টেনশন করছে কিনা।মহিন আসলে তার মোবাইল থেকে মাকে কল দিয়ে
-আয়শা, তুকে কি কেউ কিছু বলেছে?
-আরে না মা,আসলে আমার শ্বশুর বাড়িতে সবাইকে দিয়ে খাওয়ার রীতি।
অন্যরাও আমাদের এখানেও পাঠায়।
-আচ্ছা এবার থেকে আর হবেনা।
মা চিন্তা করবে বলে আর ভেঙ্গে কিছু বলেনা।
-আয়শা, তুকে কি কেউ কিছু বলেছে?
-আরে না মা,আসলে আমার শ্বশুর বাড়িতে সবাইকে দিয়ে খাওয়ার রীতি।
অন্যরাও আমাদের এখানেও পাঠায়।
-আচ্ছা এবার থেকে আর হবেনা।
মা চিন্তা করবে বলে আর ভেঙ্গে কিছু বলেনা।
বড় বউ আয়শাকে আনার পর থেকে বাপের বাড়িতে শহরে চলে যায়।কেননা, মাইশা আফনান দের স্কুলে ভর্তি করা হয় তাই।
এখন শীতকাল-
বিয়ের ২মাস হয়ে যায়,আয়শা এখনো কনসিব করছেনা আবার মহিন ও ব্যবসার কাজে বাইরে চলে যাবে।
আয়শার শ্বাশুড়ি বাচ্ছা হওয়ার জন্য কি সব বড়ি নিয়ে আসে। এই বড়ি গুলো নাকি ফজরের নামাজের পর মৃদু আলো ফুটলে পুকুরে ডুব দিয়ে গিলে খেতে হয়।
বিয়ের ২মাস হয়ে যায়,আয়শা এখনো কনসিব করছেনা আবার মহিন ও ব্যবসার কাজে বাইরে চলে যাবে।
আয়শার শ্বাশুড়ি বাচ্ছা হওয়ার জন্য কি সব বড়ি নিয়ে আসে। এই বড়ি গুলো নাকি ফজরের নামাজের পর মৃদু আলো ফুটলে পুকুরে ডুব দিয়ে গিলে খেতে হয়।
এখন শীত কাল তার মধ্যে পুকুরে ঠান্ডা পানিতে তারপরো আয়শা নেমে যায় পুকুরে হাজার হলেও শ্বাশুড়ির আদেশ।আর ভাবছে মা তো আমার ভালর জন্যয় করছে।একটা নাতি নাতনির জন্য।
পুকুরে ঠান্ডা পানি থেকে উঠে আয়শার জ্বর চলে আসে।
তার পরো তার যে জ্বর সেটা আর কাউকে জানায়না।কারণ জানালেও কি হবে?সবার জন্য রান্না বান্নার কাজ অনেক বাকি শ্বাশুড়ি কেও করতে দিবেনা সে।
পুকুরে ঠান্ডা পানি থেকে উঠে আয়শার জ্বর চলে আসে।
তার পরো তার যে জ্বর সেটা আর কাউকে জানায়না।কারণ জানালেও কি হবে?সবার জন্য রান্না বান্নার কাজ অনেক বাকি শ্বাশুড়ি কেও করতে দিবেনা সে।
ইশ, আজকে যদি একটু গ্যাসে রাধতে পারতাম।আয়শার শ্বশুর বাড়িতে মাঠির চুলা।যদিও সে বাবার বাডিতে মাঠির চুলা দেখেওনি তারপরো শ্বাশুড়ির মন রক্ষার্থে মাঠির চুলায় রান্না করে।
যখন মাঠির চুলার আগুনের তাপে তার অসহ্য গরম লাগে তখন সে চিন্তা করে সাদেগী জিন্দগী করতে না পারলে তো পরকালে এরচেয় ৭০গুণ আগুনের তাপে পুড়তে হবে তার চেয়ে এটায় ভাল।
যখন মাঠির চুলার আগুনের তাপে তার অসহ্য গরম লাগে তখন সে চিন্তা করে সাদেগী জিন্দগী করতে না পারলে তো পরকালে এরচেয় ৭০গুণ আগুনের তাপে পুড়তে হবে তার চেয়ে এটায় ভাল।
এভাবে সব কিছুতে সে ভাল দিকটা চিন্তা করে চলে।
আয়শাকে অবঙ্গার চোখে দেখলেও আয়শার শ্বাশুড়ি মায়ের মন জয়ের যুদ্ধ থেমে থাকেনি,শুধু মাত্র আল্লাহর জন্য।
আয়শাকে অবঙ্গার চোখে দেখলেও আয়শার শ্বাশুড়ি মায়ের মন জয়ের যুদ্ধ থেমে থাকেনি,শুধু মাত্র আল্লাহর জন্য।
মাঝে মাঝে কষ্ট হয়,ভাবতে থাকে আমি হয়ত শ্বাশুড়ির মন জয় করতে পারবনা।
আবার ভাবে ইনিতো মানুষ ই।বাগ তো আর না।আমি একদিন না একদিন পারবই।
আবার ভাবে ইনিতো মানুষ ই।বাগ তো আর না।আমি একদিন না একদিন পারবই।
এর মধ্যেই আয়শার শ্বশুরের ডাইবেটিকস ধরা পড়ে।এর পর থেকে আয়শা শ্বশুরের দায়িত্ব ও নিয়ে নেয়।প্রতিদিন রুটি সকালে আর রাতের জন্য তৈরি করে রেখে দেয়।প্রতিদিন সকালে উঠে শ্বশুর শ্বাশুরির রুমে গিয়ে সালাম করা। তার নিত্যনৈতিক কাজ।
আর আছরের টাইমে সময় করে মাথা আছড়িয়ে দেয়া শ্বাশুরির।রাতে ওষধ খাওয়ানো।
নাহ,,তারপরো আয়শার শ্বাশুড়ির রাগ কমেনা।
আর আয়শার সবরের ধৈর্যও আরো বাড়াতে থাকে।
আর আছরের টাইমে সময় করে মাথা আছড়িয়ে দেয়া শ্বাশুরির।রাতে ওষধ খাওয়ানো।
নাহ,,তারপরো আয়শার শ্বাশুড়ির রাগ কমেনা।
আর আয়শার সবরের ধৈর্যও আরো বাড়াতে থাকে।
কখন কখন যেন বিয়ের ২বছর পার হয়ে যায়।এর মধ্যেও আয়শার কোল জুড়ে কোন বাচ্চা আসেনি তার রেষ ধরে আয়শার শ্বশাুড়ি আরো রেগে আছেন।
এতদিন আয়শার বাবার বাড়ি থেকে আনা কাপড় পড়ে আয়শা থাকে। ২বছরে জামাগুলো ছিড়ে যাওয়াতে মহিনকে বলে।
শুনুন,জামাগুলো ত সব পুরাতন হয়ে গেল।যদি নতুন বানিয়ে দিতেন।
-মাকে বলো আমাকে কেন?
শুনুন,জামাগুলো ত সব পুরাতন হয়ে গেল।যদি নতুন বানিয়ে দিতেন।
-মাকে বলো আমাকে কেন?
মা,আমার জামা তো সব ছিড়ে যাচ্ছে কিছু জামা যদি বানিয়ে দিতেন।
-কেন?এবার বাবার বাড়ি গেছো আনোনি কেন?
এটা শুনার পর আয়শা চুপ হয়ে যায়।
এটা শুনার পর আয়শা চুপ হয়ে যায়।
মনকে সান্ত্বনা দেয় আরে গরিবরা ১জামা ৪,৫বছরেও পড়ে না?আমি আরো দু বছর কাটিয়ে দিতে পারব।তাতে কি?
খুব মায়ের জন্য মন জলছে আয়শাকে মোবাইল না দেয়াতে সে মন খুলে মায়ের সাথেও কথা বলেনা।একাকি সময় কাটাতে অবসর টাইমে তার শ্বাশুড়ির জন্য নকশি কাতা সেলায় করে।
শ্বাশুড়ি মাকে কাতা টি দেওয়ার পরই শ্বাশুরি মা খুশি হন তবে সেটা মুখে প্রকাশ করেনা।
শ্বাশুড়ি মাকে কাতা টি দেওয়ার পরই শ্বাশুরি মা খুশি হন তবে সেটা মুখে প্রকাশ করেনা।
এটা ঠের পেয়ে আয়শা আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানায়।অন্তত আজকে মা একটু খুশি আমার উপর।
বিয়ের ২.৫বছরে আয়শা কনসিব করে।
শ্বাশুড়ি সবসময় বকাবকি করলেও এই খবর শুনে খুশি হন।
কিন্তু ৬মাস পার হয়ে গেলেও আয়শাকে কোন ডাঃ কাছে নেয়না।
শ্বাশুড়ি সবসময় বকাবকি করলেও এই খবর শুনে খুশি হন।
কিন্তু ৬মাস পার হয়ে গেলেও আয়শাকে কোন ডাঃ কাছে নেয়না।
আয়শাও মনে চিন্তা করে সবচেয়ে বড় ডাঃ তো আল্লাহ।আল্লাহ একটু রহমতের নজরে তাকালে ডাঃ কাছে যেতে হবেনা।
৬মাসের শেষে আয়শা সিড়ি থেকে নামতে গিয়ে পড়ে যায়।চিৎকার দিতে গিয়েও দেয়নি যদি শ্বাশুড়ি বকা দেয়?
৬মাসের শেষে আয়শা সিড়ি থেকে নামতে গিয়ে পড়ে যায়।চিৎকার দিতে গিয়েও দেয়নি যদি শ্বাশুড়ি বকা দেয়?
চলবে,
লিখা:ফাতিমার আম্মি।
আগের পর্বগুলো আমার আইডিতে পাবেন।
tag
0 coment rios: