গল্প- সবর
পর্ব-২
আয়শাও ঠায় দু ঘন্টা দাড়িয়ে থাকে এক জায়গায়।
উফফ,,,খুব পা ব্যাথা করছে।হিলগুলো খুলে ফেললে হয়ত ব্যথা করবেনা। তাই পায়ের হিল চুপিসারে খুলে ফেললো।
আয়শা রুমের বাথরুম দেখে অজু করে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করে নিলো।
বিছানায় গা এলাতেই চোখে ঘুমের রাজ্য ভর করে।চোখগুলো ত ক্লান্ত সারাদিন যে অঝর ধারায় অশ্রু বয়ে গেছে।
চোখগুলোরো বা আর দোষ কি?
বিছানায় গা এলাতেই চোখে ঘুমের রাজ্য ভর করে।চোখগুলো ত ক্লান্ত সারাদিন যে অঝর ধারায় অশ্রু বয়ে গেছে।
চোখগুলোরো বা আর দোষ কি?
ফজরের নামাজ আদায় করে সকাল ৬টায় রান্না ঘরে যেতেই শ্বাশুড়ি বললো বড় বউ নতুন বউকে কাজে দাও।এখন থেকে না করলে অভ্যাস হবেনা।
ওহ এই মহিলাটিই তো কাল আমাকে মিষ্টির বাক্সের কথা বলেছিল।তাহলে ইনিই আমার শ্বাশুড়ি।শ্বাশুড়ির কথা রাখতে
আয়শা কাজে লেগে যায়।
আজ আয়শাকে তার বাবার বাড়ি থেকে দেখতে আসবে।
দুপুর বারোটায় আয়শার আত্নীয় স্বজন ঘরে ডুকতেই দেখে আয়শা ঘর ঝাড়ু দিচ্ছে।
তা দেখে আয়শার মার চোখ কপালে উঠে যায়।আয়শা তড়িঘড়ি করে মেহমান না দেখে মত ঝাড়ু লুকিয়ে ফেলে।
দুপুর বারোটায় আয়শার আত্নীয় স্বজন ঘরে ডুকতেই দেখে আয়শা ঘর ঝাড়ু দিচ্ছে।
তা দেখে আয়শার মার চোখ কপালে উঠে যায়।আয়শা তড়িঘড়ি করে মেহমান না দেখে মত ঝাড়ু লুকিয়ে ফেলে।
কিন্তু আয়শার মার চোখকে ফাকি দিতে পারেনি।২৪ঘন্টা পার হওয়ার আগেই মেয়েকে ঘর ঝাড়ু দিতে দেখে আয়শার মার চোখ কপালে উঠে যায়।তাও কিছু বলে না কাউকে।
বিয়ের ১ম দিন যেমন নতুন বউ রক্ষা পেলনা তখন ২য় দিন মেহমানগুলো রক্ষা পাবে কি করে।আরো কিছু কথা শুনিয়ে দেয় আয়শার মাকেও।
তারাও কি বলবে মেয়ে তো দিয়ে দিয়েছেন।
আয়শার মা বেয়াই বাড়ি থেকে এসে উদাসীন।ভাবতে থাকে কিছুদিন আগে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো।
আয়শার মা বেয়াই বাড়ি থেকে এসে উদাসীন।ভাবতে থাকে কিছুদিন আগে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো।
এইতো দু মাস আগে,,,,,,,
একদিন হুট করে দুজন মহিলা এসে আংটি পড়িয়ে দিয়ে যায়।আয়শার মা হতভম্ব হয়ে চেয়ে থাকে,আন্টি ফেরত দিতে চায়
।আয়শার বাবা সহজ সরল তাই বলে মেয়ে যখন হয়ছে পরের কাছে তো দিতেই হবে।
তারপরো আয়শার মা অনঢ়।মেয়েটা সবে মাত্র দাওরায়ে ফারেগ হলো। এখনি বিয়ে?
।আয়শার বাবা সহজ সরল তাই বলে মেয়ে যখন হয়ছে পরের কাছে তো দিতেই হবে।
তারপরো আয়শার মা অনঢ়।মেয়েটা সবে মাত্র দাওরায়ে ফারেগ হলো। এখনি বিয়ে?
অনেক ভেবে চিন্তে প্রায় এক মাস পর আয়শার মা প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন।লোক মারফতে তাদের আন্টিও।তাদেরকে বলেন মেয়ের বয়স কম। আরো পরাবেন।
কিন্তু ছেলের মা সিদ্ধিান্তে অনঢ়।যেভাবেই হোক মেয়েটাকেই আনবে সে,
না আয়শাকে অতিরিক্ত পছন্দ হওয়ার জন্য না,আন্টি ফেরত দেয়ার খেসারত উসুল করতেই।সাথে সাথে ফোন দেয় মেয়ের মাকে।
না আয়শাকে অতিরিক্ত পছন্দ হওয়ার জন্য না,আন্টি ফেরত দেয়ার খেসারত উসুল করতেই।সাথে সাথে ফোন দেয় মেয়ের মাকে।
বিয়াইন আপনার মেয়ে তো আমার মেয়ে
মেয়ে যখন বিয়ে তো আজ বা কাল দিতেই হবে।
-না,মেয়েকে পড়াবো আরো তাই
-পড়ালেখা নিয়ে একদম চিন্তা করবেননা যত চায়বে তত পড়তে পারবে আমার এখানে।
- আসলে মেয়ে কাজ কর্মও কিছু জানেনা এখনো।
-কি বলেন?এত ছোট মেয়েকে আমি কাজ করালে ৫জনের কাছে বিচার দিয়েন।
মেয়ে যখন বিয়ে তো আজ বা কাল দিতেই হবে।
-না,মেয়েকে পড়াবো আরো তাই
-পড়ালেখা নিয়ে একদম চিন্তা করবেননা যত চায়বে তত পড়তে পারবে আমার এখানে।
- আসলে মেয়ে কাজ কর্মও কিছু জানেনা এখনো।
-কি বলেন?এত ছোট মেয়েকে আমি কাজ করালে ৫জনের কাছে বিচার দিয়েন।
-আচ্ছা মেয়ের বাবার সাথে কথা বলে জানাচ্ছি।
আয়শার মা ভাবনায় পড়ে গেল।
এই মহিলাতো সব কথা দিচ্ছে।তাহলে কি মেয়েকে দিয়েই দিবো?
আয়শার মা এত চিন্তা করোনা,সুখ দুঃখ আল্লাহর হাতে।এতজোর করছে যখন নিশ্চয় আমার মেয়েকে খুব পছন্দ হয়েছে।
আরো এক মাস শত চিন্তা ভাবনার পর আয়শাকে তুলে দেয় মহিনের হাতে।
কিন্তু বিয়ের ২য় দিন ই আয়শাকে ঘর ঝাড়ু দিতে দেখে আর সামান্য মিষ্টির বাক্সে কালি থাকার কারণে অপমানিত হয়ে মায়ের মন বিষন্ন হয়ে আছে।চোখ থেকে কখন যেন জল গড়িয়ে পড়লো।চোখ মুছতে মুছতে ভাবলো আচ্ছা মহিলাটা ১টা দিন ও কথা দিয়ে কথা রাখলনা?
মহিনরা তিন ভাই,
আয়শার বড় জা'খুব খারাপ না হলেও তেমন একটা ভালনা।আয়শা সব সময় চায় শ্বাশুড়ির মন জুগাতে কিন্তু পেরে উঠেনা কেননা শ্বাশুড়ির মনে যে আন্টি ফেরত দেওয়ার অপমান এখনো কাটা বিধে আছো।কাটাটা না নামানো পর্যন্ত শান্তি নাই।
আয়শার বড় জা'খুব খারাপ না হলেও তেমন একটা ভালনা।আয়শা সব সময় চায় শ্বাশুড়ির মন জুগাতে কিন্তু পেরে উঠেনা কেননা শ্বাশুড়ির মনে যে আন্টি ফেরত দেওয়ার অপমান এখনো কাটা বিধে আছো।কাটাটা না নামানো পর্যন্ত শান্তি নাই।
শ্বাশুড়ি কারণে অকারণে আয়শাকে টার্গেট করে কথা শুনায়। কথায় আছেনা দেখতে পারেনা যাকে,হাটতে বসতে ভেঙ্গায় তাকে।
আর এই দেখতে না পারার কারণ হলো আয়শার মায়ের আন্টি ফেরত দেওয়া।যা মহিনের মা আত্মসম্মানে খুব লেগেছিল।
তাই এখন তার শোধ তুলছে আয়শাকে কষ্ট দিয়েই।
আর এই দেখতে না পারার কারণ হলো আয়শার মায়ের আন্টি ফেরত দেওয়া।যা মহিনের মা আত্মসম্মানে খুব লেগেছিল।
তাই এখন তার শোধ তুলছে আয়শাকে কষ্ট দিয়েই।
এই তো একদিন আয়শা দু তলায় বেলকনিতে যায় কাপড় আনতে।
সে খেয়াল করেনি যে ননদ সে রুমে একজন জাদুকর মহিলার সাথে কথা বলছিল।সে মহিলাটি সালাম দিয়ে কাপড় নিয়ে নেমে পড়ে।
কিছুক্ষণ পরেই তার ননদ এসে আয়শাকে বলে তুমি আড়ি পেতে শুনতে গিয়েছিলে আমি জাদুকর মহিলাটির সাথে কি বলছি।
আয়শা অবাক হয়ে যায় তার কথা শুনে পরে সেই কথাটি মহিনকেও জানায় তার শ্বাশুড়ি।
সে খেয়াল করেনি যে ননদ সে রুমে একজন জাদুকর মহিলার সাথে কথা বলছিল।সে মহিলাটি সালাম দিয়ে কাপড় নিয়ে নেমে পড়ে।
কিছুক্ষণ পরেই তার ননদ এসে আয়শাকে বলে তুমি আড়ি পেতে শুনতে গিয়েছিলে আমি জাদুকর মহিলাটির সাথে কি বলছি।
আয়শা অবাক হয়ে যায় তার কথা শুনে পরে সেই কথাটি মহিনকেও জানায় তার শ্বাশুড়ি।
শুন মহিন?
-জি মা বলো,
-তোর বউকে এইসব লুকোচুরি অভ্যাস দুর করতে বল।
-কি করেছে মা?
-কি করেছে?তুর বোনের স্বামিকে ঠিক করতে সে জাদুকর মহিলার সাথে কথা বলছিল আর তুর বউ আডি পেতে কথা শুনতে গিয়েছে কেন?
-আচ্ছা, মা আমি বলবো।
-হু,বউকে শাসন কর এতো মাথায় তুললে নামাতে পারবিনা।
-জি মা বলো,
-তোর বউকে এইসব লুকোচুরি অভ্যাস দুর করতে বল।
-কি করেছে মা?
-কি করেছে?তুর বোনের স্বামিকে ঠিক করতে সে জাদুকর মহিলার সাথে কথা বলছিল আর তুর বউ আডি পেতে কথা শুনতে গিয়েছে কেন?
-আচ্ছা, মা আমি বলবো।
-হু,বউকে শাসন কর এতো মাথায় তুললে নামাতে পারবিনা।
রাতে প্রায় ১২.০০টা
এখনো আয়শা রাতের খাবার খায়নি ক্ষিদায় তার পেঠ চৌচির হয়ে যাচ্ছে।বড় ঘরে গল্প গুজব করে খাওয়া শেষ হতে ১২টা।সবার শেষে ঘরের বউরা খেতে পারে।
আয়শা বাবার বাড়িতে যখন তখন খেয়ে ফেলতো কিন্তু এটাতো শ্বশুর বাড়ি
আয়শা ঝিমাতে ঝিমাতে খাওয়ার সব তরি তরকারি গুছিয়ে আসতে ১২.৩০
রুম এসেই জেরা শুরু করে দেয় তার স্বামি।
আচ্ছা,তুমার কি লাজ-লজ্জা বলতে কিছুই নেয়?
-কি বলছেন আপনি?
---------------------
চলবে,
চলবে,
লিখা:ফাতিমার আম্মি
tag
0 coment rios: