ইসলামিক গল্প (সবর)
#পর্ব -১
মিষ্টিী বাক্সগুলোয় কালি কেন?এ কেমন আপ্যায়ন?এই বউকে ডাক জিগ্যেস কর তার মা কিরকম মিষ্টি দিলো এসব?আমাদের কি ফকির পেয়েছে?
খাটে বসা নতুন বউকে উপস্থিত,সব মেহমানের সামনে জেরা করে যাচ্ছে এক মহিলা।
এই মেয়ে তোমার মা মিষ্টি দিলো ঠিক মিষ্টির বাক্সে কালি কেন?(কয়লার দাগ)
উপস্থিত সব জনতা যেন নিরব দর্শক তাদের যেন একটু ও বলার ভাষা নেই,
আহহ,ছেড়ে দাওনা নতুন বউকে পরে নাহয় জিগ্যেস করবা।
বা,
সেই দাম্ঙিক পুরুষটারো যে কিছুক্ষণ আগে একটি মেয়েকে তার সব দায় দায়িত্ব, ভরণ পোষণ, সুখ দুঃখ,চিকিৎসা, বাসস্থান সবকিছুর দায়িত্ব নেওয়ার ওয়াদা করে আসলো।দাড়িয়ে দাড়িয়ে সেও সর্বসম্মুখে তার বউয়ের অপমান দেখছে।
অপরপক্ষে মেয়েটি চুপ কি বলবে সে?
আধঘন্টা চলে নতুন বউয়ের অপমান।
মেয়েটির সেই সকাল থেকেই মা বাবা ছেড়ে যাওয়ার কষ্টে অবিরাম চোখের জল ফেলতেই থাকে,এবার আবারো যোগ হলো অপমানের অশ্রু।কাজলের কালি চোখের অশ্রুর সাথে সারা মুখে লেপ্টে যায়।
----------------
মেয়েটির সেই সকাল থেকেই মা বাবা ছেড়ে যাওয়ার কষ্টে অবিরাম চোখের জল ফেলতেই থাকে,এবার আবারো যোগ হলো অপমানের অশ্রু।কাজলের কালি চোখের অশ্রুর সাথে সারা মুখে লেপ্টে যায়।
----------------
এ হলো আয়শার সংগ্রামের জিবন শুরুর প্রথম দিন।
চলবে,,,
চলবে,,,
আয়শা ঘন্টা খানেক আগে নতুন বউ হয়ে আসে এই ঘরের।আয়শার মা মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে ২০কেজি মিষ্টি, নিমকি,আরো ৫রকমের নাস্তা পাঠায় বর পক্ষের বাড়িতে।
ঘরে ডুকার পর থেকেই তার কানে ভাসে কে যেন চিল্লাচিল্লি করছে এই মিষ্টির বাক্সে কালি লাগলো কেন সেই নিয়ে।
ঘরে ডুকার পর থেকেই তার কানে ভাসে কে যেন চিল্লাচিল্লি করছে এই মিষ্টির বাক্সে কালি লাগলো কেন সেই নিয়ে।
এত কিছু দেওয়ার পরও একটা মিস্টির বাক্সে সামান্য কালি লাগার জন্য নতুন বউকে অপমান করারর টপিক পেয়ে গেল তারা।
সে তো এই ঘরে নতুন কাউকে চিনেনা।এতক্ষণ যে তাকে কে অপমান করে গেল সে তাও জানেনা।
ইলক্ট্রিসিটি নেয়।মিটিমিটি মোমের আলোতে আরো ২ ঘন্টা অশ্রু সিক্ত হয় তার চোখ।যা সবার চোখের আড়ালেই ছিল।
কেউ দেখেনি দেখার চেষ্টাও করেনি কেউ।
কেউ দেখেনি দেখার চেষ্টাও করেনি কেউ।
নতুন বউয়ের আপ্যায়ন সে পায়নি।
মিস্টি থাকা সত্বেও তাকে মিষ্টি মুখ করা হয় পায়েস দিয়ে।
মিস্টি থাকা সত্বেও তাকে মিষ্টি মুখ করা হয় পায়েস দিয়ে।
আছরের পর থেকে বসে থাকতে থাকতে তার গাঢ় আর কোমর ব্যথা করছে।খুব ক্ষিদেও পেয়েছে।মা অনেক জোর করেছিল ভাত খাওয়ার জন্য কান্না + বমি হওয়ার ভয়ে ভাত খায়নি সে।
এতক্ষণ নতুন বউ বলে মাথা তুলে ঘড়ির দিকেও তাকায়নি।
এখন একটু মেহমান কম তাই সাহস করে ঘড়ির দিকে তাকায়।
সন্ধ্যা৭টা
ইশশ,,,মাগরিবের নামাজের টাইম তো চলে যাচ্ছে আজানটাও শুনলামনা আওয়াজের কারণে।কাউকে দেখছিওনা বাথরুমটা কোথায় দেখিয়ে দিত।
এতক্ষণ নতুন বউ বলে মাথা তুলে ঘড়ির দিকেও তাকায়নি।
এখন একটু মেহমান কম তাই সাহস করে ঘড়ির দিকে তাকায়।
সন্ধ্যা৭টা
ইশশ,,,মাগরিবের নামাজের টাইম তো চলে যাচ্ছে আজানটাও শুনলামনা আওয়াজের কারণে।কাউকে দেখছিওনা বাথরুমটা কোথায় দেখিয়ে দিত।
এসব ভাবতে লাগলো আয়শা।কিছুক্ষণ পর একটা পিচ্ছিকে দেখতেই আয়শা ওকে ডাকে।
এই পচ্ছি তোমার নাম কি?
-আমার নাম মাইশা
ওহ খুব সুন্দর নাম।আচ্ছা এখানে ওয়াশরুম টা কোথায় জানো?
-হ্যা।এই রুমের পাশেই ওয়াশরুম।
আচ্ছা,আয়শা টুক টুক করে খাট থেকে নেমে অজু করে নেয়।
এর মধ্যেই আয়শার জা" আসে নামাজের জায়গা দেখিয়ে দেয়।কিছু কিছু মেহমান মিট মিট করে হাসতে থাকে।
এই দেখ নতুন বউ নাকি নামাজ পড়বে
বয়স্ক কেউ একজন বললো আর কত ঢং দেখবো।
আয়শার শ্বশুর ঘরে দ্বীনের বুঝ কম থাকার কারণে কেউ টিটকারীটা এত মাথায় নেয়নি।
আচ্ছা,আয়শা টুক টুক করে খাট থেকে নেমে অজু করে নেয়।
এর মধ্যেই আয়শার জা" আসে নামাজের জায়গা দেখিয়ে দেয়।কিছু কিছু মেহমান মিট মিট করে হাসতে থাকে।
এই দেখ নতুন বউ নাকি নামাজ পড়বে
বয়স্ক কেউ একজন বললো আর কত ঢং দেখবো।
আয়শার শ্বশুর ঘরে দ্বীনের বুঝ কম থাকার কারণে কেউ টিটকারীটা এত মাথায় নেয়নি।
আয়শা সব শুনেও চুপ করে থাকে।
নিজ দায়িত্বে এশারের নামাজ টাও আদায় করে নেয় আয়শা।মহিলাটার বকা দেওয়ার ভয়ে এখনো তার বুক ধুকধুক করছে।
রাত ১২টা যার যার কাজে ব্যস্ত।নতুন বউকে দেওয়া হয় তার রুমে।স্বামি একটু বসতেও বলেনা
কেমন যেন গম্ভির।টুকটাক করে কি কি যেন করেই যাচ্ছে।হয়ত মিষ্টির বাক্সে কালি থাকার শাস্তি তার বর ও দিচ্ছে।
আয়শা ঠায় দাড়িয়ে থাকে এক জায়গায় প্রায় দু ঘন্টা।
কেমন যেন গম্ভির।টুকটাক করে কি কি যেন করেই যাচ্ছে।হয়ত মিষ্টির বাক্সে কালি থাকার শাস্তি তার বর ও দিচ্ছে।
আয়শা ঠায় দাড়িয়ে থাকে এক জায়গায় প্রায় দু ঘন্টা।
চলবে,,,,
সাথে থাকুন।
সাথে থাকুন।
লিখা:ফাতিমার আম্মি
tag ,
0 coment rios: