'সুন্নত জিন্দার মিশন পর্ব ১০Md Abdul Kaiyum
খালিদ নামাজ পড়ে দাদা দাদীর কবর জিয়ারত করে বাসায় আসে।বাড়ির সবাই এখনো নামাজের ঘরে তাদের এখনো নামাজ শেষ হয় নি।তাই খালিদ তার রুমে গিয়ে বই নিয়ে পড়া শুরু করে। কিছুক্ষণ পর রিমা তাদের রুমে আস.
রিমাঃ কখন আসলেন?
খালিদঃ এই তো কিছুক্ষণ হলো। কই ছিলেন আপনি?
রিমাঃ নামাজের রুমে.
খালিদঃ আপনি না শারিরিক অসুস্থ.?
রিমাঃ হুম তাতে কি..? এই অবস্থায় নামাজের রুমে যাওয়া নিষেধ নাকি।
খালিদঃ শুনছিলাম এই অবস্থায় নামাজ, রোজা, কোরআনমজিদ তেলোয়াত নিষিদ্ধ।
রিমাঃ হুম..এই অবস্থায় এসব আমল নিষেধ।
খালিদঃ তাহলে ঐরুমে কি করছিলেন.?
রিমাঃ নামাজের জায়গায় বসে তাজবিহ, দোয়া, দুরুদ,আদায় করছি।
খালিদঃ এই সময় তাজবিহ আদায় করা যায় নাকি.?
রিমাঃ কেন জানেন না..? এই সময় নামাজ, রোজা,কোরআনমজিদ তেলোয়াত ইত্যাদি ব্যতিত জিকির,দোয়া দুরুদ, ইস্তেগফার ইত্যাদি পড়া যায়।এমন কি কোরআন মাজিদের যে সমস্ত আয়াত দোয়া কেন্দ্রিক ঐ সমস্ত আয়াত ও পড়া যায়.
খালিদঃ ও.... আমার জানা ছিল না।
রিমাঃ আসলে এই সময় যদি আমরা পুরাপুরি ইবাদত থেকে বিরত থাকি তাহলে আমাদের মাঝে অলসতা চলে আসে। ফলে সুস্থ হওয়ার পর নামাজ পড়তে ইচ্ছে করেনা।তাই অলসতা যাতে না আসে আমাদের উচিত এই সময় নামাজের স্থানে বসে বিভিন্ন দোয়া দুরুদ জিকির করে নামাজের সময় পার করা। এতে সুস্থ হওয়ার পর আর নামাজ পড়তে অলসতা আসে না।
খালিদঃ খুব সুন্দর কথা বলেছেন. জাযাকুমুল্লাহ
রিমাঃ ইয়াওয়্যাকি. চলুন খেতে চলুন সবাই অপেক্ষা করতাছে।
খালিদঃ বড় ভাবি কোথায় খাবে.?
রিমাঃ উনি খাবার নিয়ে উনার রুমে চলে গেছেন।
খালিদঃ আমার জন্য উনি আবার বাড়তি কষ্ট কেন করতাছেন। উনাকে বলতেন উনি সবার সাথে খেতো। আমি না হয় পরে যেতাম।
রিমাঃ আমি বলছিলাম. উনি বলছেন বড় ভাইয়া আসলে রাতে ভাইয়া সহ আব্বা আম্মার সাথে এক সাথে খাবেন।
খালিদঃ ও আচ্ছা. তাহলে চলুন।
তারপর খালিদ আর রিমা খাবারের রুমে যায়। ততক্ষণে খালিদের পিতা মাতা খালিদের জন্য অপেক্ষা করছিলো।খালিদের পিতা মাতা চেয়ারে বসলেন খালিদ গিয়ে খাটের উপর দস্তরখান বিছিয়ে বসলেন এবং রিমা কে তার মায়ের সাথে বসতে বলে। আয়েশা সবাই কে খাবার বেড়ে দেয়। খাবার খাওয়ার পর
খালিদঃ বাবা এলাকার মুরুব্বিদের দাওয়াত দেওয়া হলো.?
খালিদের বাবাঃ হুম. মোটামুটি যাদের যাদের দেওয়ার কথা তাদের প্রত্যেক কেই দিলাম. তোমার কি অবস্থায় বউমাদের বাড়িতে দাওয়া দেওয়া হয়েছে.?
খালিদঃ জী "আলহামদুলিল্লাহ" সবাইকেই বলা হয়েছে।মাদ্রাসায় এখনো যাওয়া হয় নি. বিকালে যাবো ইনশাআল্লাহ।
খালিদের বাবাঃ বাজার সদাইর কি অবস্থা.?
খালিদঃ জী "আলহামদুলিল্লাহ্ " মোটামোটি ছোট ছোট সব জিনিষ তো নিয়ে আসলাম। এখন বাকিগুলো নিয়ে আসবো ইনশাআল্লাহ। আর ভাইয়া আসার সময় দোকান থেকে গরুর গোস্ত আর মোরগ নিয়ে আসবেন বলছিল।
খালিদের বাবা : "আলহামদুলিল্লাহ্ " ভালো . সব কাজ একা করিস না।কিছু কিছু দায়িত্ব আমায় ও দিস. আমি তো এখন আলহামদুলিল্লাহ্ অনেক সুস্থ।
খালিদঃ সমস্যা নাই আব্বু আমি ইনশাআল্লাহ পারবো। আপনি বরং বাবুর্চি কাকা আসলে উনার সাথে থাকিয়েন।উনার কি সুবিধা অসুবিধা তা দেখিয়েন।
খালিদের বাবাঃ আচ্ছা ঠিক আছে।
খালিদঃ আচ্ছা আমি তাহলে উঠি. রাতে ফিরতে একটু দেরি হতে পারে। আপনারা ঘুমিয়ে পড়িয়েন।
খালিদের বাবাঃআচ্ছা ঠিক আছে. বেশি রাত করিস না।
খালিদঃ ঠিক আছে বাবা. আমি যাই. আসসালামু আইলাইকুম
চলবে ইনশাআল্লাহ
শিক্ষা
১) জুমার নামাজের পর কবর জিয়ারত করা উচিত। তারা আমাদের জন্য কত কিছু করে গেছেন অথচ তাদের জন্য আমরা কি সাপ্তাহের ১ দিনের অতি অল্প সময় দিতে পারি না।
১) জুমার নামাজের পর কবর জিয়ারত করা উচিত। তারা আমাদের জন্য কত কিছু করে গেছেন অথচ তাদের জন্য আমরা কি সাপ্তাহের ১ দিনের অতি অল্প সময় দিতে পারি না।
২) হায়েজ অবস্থায় পুরাপুরি ইবাদত থেকে বিরত না থেকে নামাজের সময় অযু করে এসে তাজবিহ, দোয়া দুরুদ পাঠ করা উচিত। এতে ইবাদতের মাঝে গাফিলতির সৃষ্টি হয় না
হায়েজ সংক্রান্ত কয়েকটি তথ্য
★হায়েজ অবস্থায় ছুটে যাওয়া নামাজ কাজা আদায় করতে হয় না. কিন্তু রোজা আদায় করতে হয়।
★হায়েজ অবস্থায় আল্লাহর কাছে দোয়া করা জায়েজ
★ হায়েজ নিফাস অবস্থায় দোয়া কুনুত পড়া জায়েজ।
★হায়েজ নিফাস অবস্থায় নামাজের ওয়াক্ত হলে অযু করে নামাজের জায়গায় বসে কিছুক্ষণ আল্লাহর নাম নেওয়া, যিকির করা, ইস্তেগফার পড়া মস্তাহাব।
★এই অবস্থায় কোরআনমজিদ পড়া জায়েজ নাই। তবে যদি কোন মহিলা বাচ্চাদের কুরআন শিক্ষা দেন তাহলে তিনি বানান করে পড়াতে পারবেন এবং রিডিং পড়ানোর সময় এক দুই শব্দ করে ভেজ্ঞে আলাদা আলদা শ্বাসে পড়াতে পারবেন।
★হায়েজ অবস্থায় মহিলারা প্রতি নামাজের ওয়াক্তে ৭০ বার এস্তেগফার পাঠ করিলে এক হাজার রাকাত নফল নামাজের সওয়াব ও ৭০ টি গোনাহ মাফ হবে।
✏কোরআন ও হাদীসের আলোকে
খাবার খাওয়ার আদব ও সুন্নত সমূহ,✏
খাবার খাওয়ার আদব ও সুন্নত সমূহ,✏
১) জুতা খুলে খাবে। কেননা এতে তৃপ্তি রয়েছে।অবশ্য জুতা পরে খাওয়াতে কোন গুণাহ নেই।
২) খানার পূর্বে উভয় হাত ক্বজি পর্যন্ত ধোয়া সুন্নাত।
৩) প্রয়োজনে কুলি করা সুন্নাত।
৪) খাবার সামনে আসলে পড়বে- ﺍﻟﻬﻢ ﺑﺎﺭﻛﻠﻨﺎ ﻓﻴﻤﺎ ﺭﺯﻗﺘﻨﺎ ﻭﻗﻨﺎ ﻋﺬﺍﺏ ﺍﻟﻨﺎﺭ
৫) বিনয়ের সূরতে বসে খাওয়া।
৬) সামনের দিকে ঝুঁকে বিনয়ের সাথে খাওয়া।
৭) যমীনের উপরে বসে খাওয়া। চেয়ার-টেবিলে খাওয়া উচিত নয়। কারণ এতে খানার অনেক আদব রক্ষা হয় না।
৮) খাওয়ার শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা
৯) হেলান দিয়ে বসে খাওয়া উচিত নয়।
১০) ডান হাত দ্বারা খাওয়া সুন্নাত। প্রয়োজন হলে বাম হাত দ্বারা সাহায্য
নেওয়া যেতে পারে।
১১) শরীরের সুস্থতা এবং আল্লাহ তা’আলার হুকুম পালন করার নিয়তে খাবে।
১২) তিন আঙ্গুল দ্বারা খাওয়া সুন্নাত। প্রয়োজনে চার-পাঁচ আঙ্গুল ব্যবহার করা
যেতে পারে।
১৩) এক জাতীয় খাবার হলে অন্যের সম্মুখ থেকে না খেয়ে নিজের সম্মুখ থেকে খাবে।বিভিন্ন রকমের খাবার হলে অন্যের সামনে থেকেও খাওয়া যাবে।
১৪) কেউ কেউ বলেছেন-লবন দ্বারা শুরু করা এবং শেষ করা সুন্নাত। তবে যে হাদীসের আলোকে কথাটি বলা হয়েছে, সে হাদীসটি জাল।
১৫) প্লেটের এক দিক থেকে খাবে। পাত্রের মাঝ থেকে খাবে না। কারণ,
কাঝখানে বরকত নাযিল হয়।
১৬) খেজুর জাতীয় কোনও খাবার যেমন-বিস্কুট, মিষ্টি ইত্যাদি খাওয়ার সময় একটি করে নিবে।
১৭) এক লোকমা গিলার পূবে আরেক লোকমা মুখে দিবে না। টগটগ করে খানা
খেলে লোভ প্রকাশ পায়।
১৮) পড়ে যাওয়া খাবার উঠিয়ে ভাবে। ময়লা লেগে গেলে পরিস্কার করে
খাবে।
১৯) গরম খাবার অথবা পানি ফূঁ দিয়ে ঠান্ডা করবে না।এটা শিষ্টাছার
পরিপন্থী।
২০) অধিক গরম খাবার খাবে না।
২১) খাবারের দোষ-ত্রুটি খুঁজবে না।
২২) খাবারের সময় এমন কোনও কথা বলবে না, যার ফলে অন্যজন খাবার খেতে ভয় পায় কিংবা খাবারের প্রতি তার ঘৃণা সৃষ্টি হয়।
২৩) খাওয়ার মাঝে অন্য কাজে ব্যস্ত হবে না। এমন কোন কথাও বলবেনা, যা শুনতে হলে কান সজাগ করে ভালো মত শুনতে হয়।
২৪) কিছু ক্ষুধা রেখে খানা বন্ধ করে দিবে। এটা হজমের জন্য উপকারী এবং
এতে রুচি বাড়ে।
২৫) আঙ্গুল এবং খাবারের পাত্র পরিস্কার করে খওয়া সুন্নত। এত নেয়ামতের মূল্যায়ণ হয় এবং আল্লাহর কাছে মুখাপেক্ষিতা প্রাকাশ পায়।
২৬) খানা খাওয়া শেষ হলে পড়বে ঃ-
ﺍﻟﺤﻤﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺬﻯ ﺍﻃﻌﻤﻨﺎ ﻭﺳﻘﻨﺎ ﻭﺟﻌﻠﻨﺎ ﻣﻦ ﺍﻟﻤﺴﻠﻤﻴﻦ
২) খানার পূর্বে উভয় হাত ক্বজি পর্যন্ত ধোয়া সুন্নাত।
৩) প্রয়োজনে কুলি করা সুন্নাত।
৪) খাবার সামনে আসলে পড়বে- ﺍﻟﻬﻢ ﺑﺎﺭﻛﻠﻨﺎ ﻓﻴﻤﺎ ﺭﺯﻗﺘﻨﺎ ﻭﻗﻨﺎ ﻋﺬﺍﺏ ﺍﻟﻨﺎﺭ
৫) বিনয়ের সূরতে বসে খাওয়া।
৬) সামনের দিকে ঝুঁকে বিনয়ের সাথে খাওয়া।
৭) যমীনের উপরে বসে খাওয়া। চেয়ার-টেবিলে খাওয়া উচিত নয়। কারণ এতে খানার অনেক আদব রক্ষা হয় না।
৮) খাওয়ার শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা
৯) হেলান দিয়ে বসে খাওয়া উচিত নয়।
১০) ডান হাত দ্বারা খাওয়া সুন্নাত। প্রয়োজন হলে বাম হাত দ্বারা সাহায্য
নেওয়া যেতে পারে।
১১) শরীরের সুস্থতা এবং আল্লাহ তা’আলার হুকুম পালন করার নিয়তে খাবে।
১২) তিন আঙ্গুল দ্বারা খাওয়া সুন্নাত। প্রয়োজনে চার-পাঁচ আঙ্গুল ব্যবহার করা
যেতে পারে।
১৩) এক জাতীয় খাবার হলে অন্যের সম্মুখ থেকে না খেয়ে নিজের সম্মুখ থেকে খাবে।বিভিন্ন রকমের খাবার হলে অন্যের সামনে থেকেও খাওয়া যাবে।
১৪) কেউ কেউ বলেছেন-লবন দ্বারা শুরু করা এবং শেষ করা সুন্নাত। তবে যে হাদীসের আলোকে কথাটি বলা হয়েছে, সে হাদীসটি জাল।
১৫) প্লেটের এক দিক থেকে খাবে। পাত্রের মাঝ থেকে খাবে না। কারণ,
কাঝখানে বরকত নাযিল হয়।
১৬) খেজুর জাতীয় কোনও খাবার যেমন-বিস্কুট, মিষ্টি ইত্যাদি খাওয়ার সময় একটি করে নিবে।
১৭) এক লোকমা গিলার পূবে আরেক লোকমা মুখে দিবে না। টগটগ করে খানা
খেলে লোভ প্রকাশ পায়।
১৮) পড়ে যাওয়া খাবার উঠিয়ে ভাবে। ময়লা লেগে গেলে পরিস্কার করে
খাবে।
১৯) গরম খাবার অথবা পানি ফূঁ দিয়ে ঠান্ডা করবে না।এটা শিষ্টাছার
পরিপন্থী।
২০) অধিক গরম খাবার খাবে না।
২১) খাবারের দোষ-ত্রুটি খুঁজবে না।
২২) খাবারের সময় এমন কোনও কথা বলবে না, যার ফলে অন্যজন খাবার খেতে ভয় পায় কিংবা খাবারের প্রতি তার ঘৃণা সৃষ্টি হয়।
২৩) খাওয়ার মাঝে অন্য কাজে ব্যস্ত হবে না। এমন কোন কথাও বলবেনা, যা শুনতে হলে কান সজাগ করে ভালো মত শুনতে হয়।
২৪) কিছু ক্ষুধা রেখে খানা বন্ধ করে দিবে। এটা হজমের জন্য উপকারী এবং
এতে রুচি বাড়ে।
২৫) আঙ্গুল এবং খাবারের পাত্র পরিস্কার করে খওয়া সুন্নত। এত নেয়ামতের মূল্যায়ণ হয় এবং আল্লাহর কাছে মুখাপেক্ষিতা প্রাকাশ পায়।
২৬) খানা খাওয়া শেষ হলে পড়বে ঃ-
ﺍﻟﺤﻤﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺬﻯ ﺍﻃﻌﻤﻨﺎ ﻭﺳﻘﻨﺎ ﻭﺟﻌﻠﻨﺎ ﻣﻦ ﺍﻟﻤﺴﻠﻤﻴﻦ
দোয়া না পারলে অন্তত শোকর আদায় করতে "আলহামদুলিল্লাহ্" বলা
২৭) দস্তরখানা উঠানোর পূর্বে নিজে উঠবে না।
২৮)দস্তরখানা উঠানোর সময় এই দু’আ পাঠ করা ঃ-
ﺍﻟﺤﻤﺪ ﻟﻠﻪ ﺣﻤﺪﺍ ﻛﺜﻴﺮﺍ ﻃﻴﺒﺎ ﻣﺒﺎﺭﻛﺎ ﻓﻴﻪ ﻏﻴﺮ ﻛﻤﻔﻰ ﻭﻻ ﻣﻮﺩﻉ ﻭﻻ ﻣﺴﺘﻐﻨﻰ ﻋﻨﻪ ﺭﺑﻨﺎ
২৯) খানা কাওয়ার পর উভয় হাত কবজি পর্যন্ত ধৌত করা সুন্নাত।
৩০) খানার পর কুলি করা সুন্নত।
৩১) দাঁত খেলাল করা সুন্নত।
৩২) হাত ধোঁয়ার পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভেজা হাত মাথায় এবং হাতে বুলিয়ে নিতেন।
৩৩) খানা খাওয়ার পর কিছু জিকির আযকার করে নেওয়া।
৩৪) খানা খাওয়া শেষ হলে সাথে সাথে শুয়ে না পড়া।
(আহকামে যিন্দেগী, তাকমীলাহ, মা’আরিফূল হাদীস)
২৭) দস্তরখানা উঠানোর পূর্বে নিজে উঠবে না।
২৮)দস্তরখানা উঠানোর সময় এই দু’আ পাঠ করা ঃ-
ﺍﻟﺤﻤﺪ ﻟﻠﻪ ﺣﻤﺪﺍ ﻛﺜﻴﺮﺍ ﻃﻴﺒﺎ ﻣﺒﺎﺭﻛﺎ ﻓﻴﻪ ﻏﻴﺮ ﻛﻤﻔﻰ ﻭﻻ ﻣﻮﺩﻉ ﻭﻻ ﻣﺴﺘﻐﻨﻰ ﻋﻨﻪ ﺭﺑﻨﺎ
২৯) খানা কাওয়ার পর উভয় হাত কবজি পর্যন্ত ধৌত করা সুন্নাত।
৩০) খানার পর কুলি করা সুন্নত।
৩১) দাঁত খেলাল করা সুন্নত।
৩২) হাত ধোঁয়ার পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভেজা হাত মাথায় এবং হাতে বুলিয়ে নিতেন।
৩৩) খানা খাওয়ার পর কিছু জিকির আযকার করে নেওয়া।
৩৪) খানা খাওয়া শেষ হলে সাথে সাথে শুয়ে না পড়া।
(আহকামে যিন্দেগী, তাকমীলাহ, মা’আরিফূল হাদীস)