#হুজুরের(_____)
#ষষ্ঠ_পর্ব(শেষ পর্ব)
"বিয়েয় পর এই প্রথম ওনি শক্ত করে খুব শক্ত করে আমার হাত দুটো ধরে বললেন_____
"আলহামদুলিল্লাহ..!! হাজার শোকরিয়া সেই মহান রবের নিকট যিনি আমাকে নিয়ে এত গভীর ভাবে ভাবার জন্য এরকম একজন কে পাঠিয়েছেন!!
"না____!!
এ কয় দিনে ওনি আমার প্রেমে পরে যায় নি!!
" বা আমায় মায়ার গভীর ভাবে জড়িয়ে ও যায় নি।
বরং অল্প মায়ায় ভালো ব্যবহারের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন!!
"তাই এখনই আমি তার থেকে ভালোবাসা আসা করতে পারি না!!
"মানুষের শরীরে হঠাৎ করেই বিশাল বড় ক্ষতের তৈরী হয় না_____
সামান্য ঘাঁ থেকেই বিশাল ক্ষতের সৃষ্টি হয়!!
"তেমনি এটা মনের ব্যাপার হুট করেই ওনি ওনার এত দিনের হারাম প্রেম কুসুমের কে ভুলে আমায় ভালোবেসে ফেলবেন এটা মনে করা ভুল নয় মস্ত বড় বোকামি ও বটে______
এটা এত তাড়াতাড়ি সম্ভবও নয়!!!
"আলহামদুলিল্লাহ...
আমি আরো ধৈর্য্য ধারন করলাম।
আর করবই বা না কেনো..!!!
"নিশ্চয়ই আল্লাহ্ ধৈর্য্যশীলদের ভালোবাসেন..।।"[সূরা ইমরান,আয়াতঃ১৪৬]
আর এই আয়াত টা কি শত হাজার বছর ধৈর্য্য ধারন করার প্রেরনা যোগাতে যথেষ্ঠ নয়..!!
" আলহামদুলিল্লাহ অবশ্যই যথেষ্ট
কোনো একদিন সকালে ওনি আমায় বললেন,"
তোমাকে আজ জিবনের প্রথম একটা অনুরোধ করবো রাখবে??
শোনে আমি খুব অবাক হয়েছিলাম_______
আমি বললাম কি কথা বলুন...!!!
ওনি বললেন," কথা দাও রাখবে....??
এই প্রথম ওনি আমার কাছে কিছু চাইবে...
তাতে আমার খুব আনন্দ হলোও আলহামদুলিল্লাহ আমি খুশিতে অন্ধ হয়ে যায়নি!!
"আমি বলি নি কথা দিলাম রাখবো......
কারন আমার এখনো অজান চাওয়ার বিষয় টা...!!
বরং আমি বলেছিম," যদি আল্লাহ ইচ্ছা করেন...এবং আমার সামর্থের মধ্যে রাখেন বিষয় টা তবে আমি কথা দিলাম ইং_শা_আল্লাহ আমি রাখবো।
এবার তো বলেন!!
"ওনি শোনে খুশি হয়েছিনেন।।।
কিন্তু ওনার চেহারায় অসস্তিও ফুটে উঠছিলো!!
" বলতে যেনো দ্বিধাবোধ করছেন!!
অবশেষে বলেই ফেললেন_______
ওনার বন্ধরা নাকি ওনার বউ কে দেখার জন্য বায়না ধরেছে!!!
তাই একবার ওদের সাথে সরাসরি আলাপ করতে হবে...!!
"কথা শোনে মাথা টা আর কাজ করছিলো না কি করবো...!!
আর ওনাকেই বা কি বলবো....!!!
ভেবে কোনো কিনারা করতে পারছিলাম না!!
"তবুও আমি বলিনি,"
আপনি জানেন না আমি পর্দা করি!!!
আপনি কিভাবে আমাকে এমন প্রস্তাব করলেন!!
আপনার এতটুকু বিবেকে বাঁধলো না!!!
বরং আমি বলেছিলাম খুব শান্ত ভাবেই," এটা তো আমার সামর্থ্যের মধ্যে নেই! বরং সামর্থ্যের সম্পূর্ন বাহিরে!!
তাহলে আমার পক্ষে এ কাজটা করা কিভাবে করা সম্ভব বলুন??
"ওনি মুচকি হাসি দিয়ে বললেন," এটা তো তোমার সামর্থ্যের বাহিরে পরে না।তুমি চাইলেই পারো ওদের সাথে দেখা করতে।
একবার দেখা করলে কি হবে!!!
আমি বললাম," আল্লাহ তো আমায় ওনাদের সাথে দেখা করতে নিষেধ করেছেন_____
ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।(সূরা:আন-নূর,৩১)
"যেখানে যে বিষয়ে মহান আল্লাহ ফয়সালা করে দিয়েছেন। এবং নিজে হকুম জারি করে দিয়েছেন তার বিরোধীতা করা কি আমার মত তুচ্ছ বান্দার সামর্থ্য আছে আপনিই বলুন....??
" ওনি আর কিছুই বললেন না......
শুধু বললেন," সত্যিই তে আমার ভুল হয়ে গেছে!!
"দিনের পর দিন যাচ্ছিলো ওনার সামান্য পরিবর্তন হলেও সম্পূর্ন হচ্ছিলো না!!
" ওনি যখন ব্রাশ করতেন তখন আমি বলতাম না....
মিসওয়াক করুন!!
বরং আমি কয়েকটা মিসওয়াক এনে ব্রাশের পাশেই রেখেছিলাম।
আর তার পাশের দেয়ালেই লেখেছিলাম,"মিসওয়াক করা আল্লাহ ও রাসূল(সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পছন্দ করেন,পক্ষান্তরে ব্রাশ করা বিশেষজ্ঞগন পছন্দ করে!!
সিদ্ধান্ত আপনার কার পছন্দকে আপনি পছন্দ করেন????
"এই লেখা দেখে..
আলহামদুলিল্লাহ...৩য় দিন থেকেই ওনি মিসওয়াক করা শুরু করেন।
" দেখতে দেখতে দুই টা বছর পার হয়ে গেলো....
"ওনি এখন প্রকাশ্যে সিগারেট খান না...তবে আমি বোঝতে পারি লুকিয়ে লুকিয়ে খান..
" আমি ওনাকে বলি নি...
আপনি এখনো সিগারেট খান....??
বরং বলেছিলাম....
"আপনাকে কিছু জিজ্ঞাসা করার ছিলো...
যদি আল্লাহ কে ভয় করে উত্তর দিন তাহলে আপনার মুখে উচ্চারিত উত্তরটাই আমি বিশ্বাস করবো!!
ওনি বললেন,"আচ্ছা ঠিক আছে তাই বলবো এবার বলো...??
" আমি বলি নি আপনি সিগারেট খান.. ??
বরং বলেছিলাম," তবে কি আপনি এখনো সিগারেট ছাড়তে পারেন নি....??
ওনি আমতা আমতা করে বললোন....না মানে মাঝে মাঝে খাওয়া হয় আর কি...
আমি বলিনি এটা একেবারে ছেড়ে দিন....
বরং বলেছিলাম, " আমি প্রকাশ্যেই খান ততদিন পর্যন্ত যতদিন না এটা কে আল্লাহ তা'আলার ভয়ে ছাড়তে না পারেন।
লুকিয়ে খেলে আর কেউ না দেখুক আল্লাহ তো ঠিকই দেখেন....
যোদিন অন্তরে আল্লাহ তা'আলার ভয় সৃষ্টি হবে সেদিনই একেবারে ছেড়ে দিয়েন ওনি লজ্জিত হয়ে....
আলহামদুলিল্লাহ....
আর সিগারেট ধরেন নি।
আমি ওনাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম......
আপনা মহান রব আল্লাহ তা'আলা কে কখন কখন মনে পড়ে....??
ওনি বলেছিলেন_____
"যখন নিজের চাওয়ার জিনিস টা পূর্ন হয়ে যায়, আবার যখন খুব কষ্টে থাকি, মসজিদে গেলে আল্লাহ তা'আলার কথা ভুব বেশি মনে হয়....
" আমি বললাম, " আর কোনো সময় নেই...??
ওনি ভাবছিলেন আর বললেন হয়তো আছে তবে এখন খেয়াল নেই।
তাই আমি নিজেই বললাম, " বন্ধুদের সাথে দেখা হলে মনে হয় না।
ওনি অট্ট হাসি দিয়ে বললেন, " তখন তো মনে হয় না.....
তখন কি মনে হওয়ার কথা.....???
আমি বলি নি বাজে বন্ধুদের সাথে চললে মনে হবে কি করে...!!
বরং বলেছিলাম_____
সুন্নতি লেবাশ পাঞ্জাবী, দাড়ি আলা আল্লাহভীরু লোক দেখলে কি আল্লাহর কথা মনে পড়ে না...??
.ওনি বললেন, " হুম তখন ও আল্লাহ ও রাসূল (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কথা মনে হয়।
আমি বললাম, "বন্ধু যদি ঐরকম হয় তবে....!!
ওনি বললেন, ঠিক বলছো।
প্রায় খারার সঙ্গ নিয়ে অনেক ঘটনা বলা হতো..
আলহামদুলিল্লাহ.. সাথে সাথে ঐ বন্ধুদের ছাড়তে না পারলেও আস্তে আস্তে ঠিকই ছেড়ে দিয়েছিলো।
" ১৪ ফেব্রুয়ারি নাকি ভালবাসা দিবস....
সেদিন সাড়া দিন কুসুমের সাথে ঘোরা-ঘুরি করে...যখন রাতে বাড়িতে ফিরলো তখন আমায় বলল....
আজ ভালবাসা দিবস অনেক আনন্দ করেছে সারা দিন!!
আমি জিজ্ঞাসা করি নি...সাথে কে ছিলো??
বরং বলেছিলাম, " আপনার কাছে ভালবাসা মানে কি....???
"ওনি বলেছিলেন যার সাথে সময় কাটাতে ভালো লাগে সে হলো...
মনের মানুষ....
আর সেই ভালো লাগাটাই হলো ভালবাসা!!
আমি বললাম," জানেন!!
আমার কাছে ভালবাসা মানে কি???
ওনি বললেন,"কি"
"যার সাথে সময় কাটানো কে আল্লাহ তা'আলা বৈধ্য করে দেন সে হলো মনের মানুষ।
আর যাদের একত্রে দেখে আল্লাহ খুশি হোন সেটাই ভালবাসা...
ওনি কিছু বলতে চাইলেও আর কিছুই বলার ছিলো না ওনার...
ওনার কার্যকলাপে আমার ভীষন কষ্ট হতো___
কত রাত যে কাঁদতে কাঁদতে কাটিয়েছি তা আজো হিসাব করে দেখা হয়নি!!
আমি ওনার সামান্য কাজের জন্যও ওনার জন্য অন্তর ও বাহির থেকে অনেক দোয়া করতাম ওনি এ দোয়ার জন্য আকৃষ্ট হতেন।
"ওনি এখনো দাড়ি রাখেন নি.....
সেদিন ওনি দাড়ি ছেটে এসেছিলো। আমার অনেক কষ্ট হচ্ছিলো....
ওনাকে কি করে বোঝাবো দাড়ির গুরুত্ব বোঝে উঠতে পারছিলাম না.......
" আমি ওনাকে বলি নি....
আপনি দাড়ি কাটলেন কেনো...??
জানেন না এতে গুনা হয়!! দাড়ি কাটলে আমার কষ্ট হয় খারাপ লাগে!!
বরং আমি বলেছি," দাড়ি মহানবী(সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সুন্নত.......
নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পছন্দ করতেন!!
"আমি শুনেছি....দাড়ি কাটলে রাসূল(সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কষ্ট পান।
আমি বলিনি আপনি রাসূল (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে কষ্ট দিয়েছেন!!
" বরং বলেছি,"আপনি দাড়ি কাটলে রাসূল (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কষ্ট পান!!
"যদি দাড়ি রাখলে রাসূল(সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খুশি হোন_____
কষ্ট না পান____
তাহলে কি আপনার খুব বেশি কষ্ট হবে...??
যদিও বা হয় আল্লাহ ও রাসূল (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর খুশির জন্য কি এতটুকু কষ্ট সহ্য করতে পারবেন না....??
" কিছুক্ষন নীরব থেকে ওনি বললেন"ইং_শা_আল্লাহ..
পারবো....
আমি শোনে বলেছিলাম,"
"আলহামদুলিল্লাহ...
আলহামদুলিল্লাহ...
আল্লাহ তা'আলা আপনাকে কবুল করুন...
" আল্লাহ আপনার উত্তম নিয়তের জন্য........
ইহকাল-পরকালে উত্তম বিনিময় দান করুন!!
এবং মহান রব আল্লাহ তা'আলা তার সন্নিকটে জান্নাতুল ফেরদাউসে আপনার জন্য একটি গৃহ নির্মান করুন____(আমিন)
ওনি আমার সেই দোয়া গুলো শোনে অবাক হয়ে বললেন.....
আমি তো এখনো দাড়ি রাখি নি.....
শুধো নিয়ত করেছি...
তাতেই এমন দোয়া,___!!
আলহামদুলিল্লাহ.... সাথে সাথে দাড়ি না রাখলেও কিছু দিন পর ঠিকই দাড়ি রেখে দিলেন।
ঘরের প্রত্যেক দেয়ালে অনেক কুরআনের আয়াত ও হাদিসের বানী লিখে লাগিয়ে রাখতাম যাতে ওনার চোখে পরে।
এবং এসব ওনার মনে ভীতি তৈরী করে।
আলহামদুলিল্লাহ আস্তে আস্তে ওনি নিজেকে বদলাতে শুরু করলেন।
আলহামদুলিল্লাহ
তিন বছর ছয় মাসে ওনি আল্লাহ তা'আলার রহমতে সম্পূর্নভাবে পরক্রিয়া থেকে বেরিয়ে আসলেন........
আলহামদুলিল্লাহ আজ ওনি সুন্নত অনুযায়ী নিজের জিবন পরিচালনা করেন।
"আজ আমি ৬৮ বছরের বৃদ্ধা।
তিন জন আলেম দুইজন আলেমা ও দুই জন হাফেজের মা!!!!
আজ আমি পাঁচ জন হুজুর ও দুইজন হুজুরাইনের মা।
সেদিন আমি হতে পারি নি একজন হুজুরের বউ!!
আজ আমি হুজুরের মা!!
আজ আমি হুজুরের শাঁশুড়ি!!
আজ আমি হুজুরের দাদি...!!
আজ আমি হুজুরের নানি!!
সেদিন আমি একজন হুজুর কে পাশে পাই নি জিবন সাথী করে!!
আলহামদুলিল্লাহ...
আজ আমি পাঁচজন হুজুরের জম্মদাত্রী।
সেই আমি একটা নারীর স্বপ্ন পূরন হয়নি।
আলহামদুলিল্লাহ আজ আমি ওছিলা হিসেবে আরো পাঁচ টা নারীর স্বপ্ন পূরনের মাধ্যম!!
আমি মাদ্রাসায় পড়ুয়া আলেমা নই....
নই কোনো হুজুরের বউ তাতে কি মহান রব আল্লাহ তা'আলা আমাক জন্য সুযোগ রেখেছেন...
সেই একাউন্ট তৈরী করার যার মাধ্যমে মৃত্যুর পর ও আমি কবরে পেয়ে যাবো সওয়াব.....
সেই একাউন্টের নাম নেক সন্তান!!!
আজ আমি কবরের পথযাত্রী______
পাপ পূন্যের খাতা হয়তো বন্ধ হয়ে যাবে____
আল্লাহ চাইলে তবুও হয়তো সওয়াবের খাতা বন্ধ করবেন না নেক সন্তান এর আমলের কারনে!!!
অনেক হতাশার মাঝে একটাই বড় আশ্বাস...
সেইদিন আমি ছিলাম বিফল.....
আলহামদুলিল্লাহ আজ আমি সফল....
হুজুরের বউ হয়ে নয়...
হুজুরের মা হয়ে____
আলহামদুলিল্লাহ______
সারাটা জিবন আল্লাহর উপর ভরসা করে ধৈর্য্য ধারন করে কাটিয়ের দেওয়ার জন্য এই আয়াতটাই যথেষ্ট
নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন।
সূরা আল-বাকারাহ ২:১৫৩
#বি_দ্র____উপরিক্ত ঘটনার আলোকে আজ এই গল্পের নামটা পূর্নতা পেলো#হুজুরের(মা) হিসেবে।
এটা উপভোগমূলক গল্প নয়...এটা অনুধাবন+ উৎসাহমূলক গল্প।
এটা লেখা আমার সেই সকল বোনদের জন্য ।
যারা জেনারেল লাইন থেকে এসে একজন হুজুরকে স্বামী হিসেবে চেয়েও পায়নি বা পায় না তাদের জন্য ।
বোন নিজের চাওয়া পূরন হয়নি তো কি হয়েছে যা পেয়েছো বা পাবে হয়তো আল্লাহ তা'আলা তাতেই বেশি কল্যান রেখেছেন।
যা পেয়েছো তাই আকড়ে রাখার চেষ্টা করো_____
বোন আল্লাহ তা'আলা তো নারীকে সেই বৃক্ষের ন্যায় তৈরী করেছে যে অনেক ফল জম্ম দিতে সক্ষম।
"যারা মাদ্রাসায় পড়ার সুযোগ পায়নি।
আলেমা হওয়ার পরিবেশ পায়নি...
দ্বীনকে সম্পূর্ন জানার মাধ্যম পায় নি...
যার বংশে কোনো হুজুর বা আলেমের চিহ্নের লেশ মাত্র নেই.....
যার ফলে সে হুজুরের বউ হওয়া থেকে বঞ্চিত!!
সেই নারী হুজুরের বউ হতে না পারলেও মহান রব তার দ্বারা একটা হুজুরের বংশ তৈরীর সুযোগও রাখেন।
বোন যদি তুমি ওছিলা হয়ে তোমার সন্তানকে হুজুর বানাও...তবে সেও একদিন তার সন্তান কে ওছিলা হয়ে হুজুর বানাবে......
এভাবে হুজুরের সংখ্যা ক্রমাগত ভাবে বিকাশ পেতেই থাকবে!!
যার প্রবর্তক হবে তুমি!!
ইং_শা_আল্লাহ____
মৃত্যুর পরেও পাবে এর সওয়াব!!
তাই বলি," চাওয়া অনুয়ায়ী পাওয়া না হলে নিরাশ হওয়ার কিছুই নেই!!!
#ছোট্ট_একদা_উদাহরন::::::যদি কোনো ব্যক্তি ৫ নম্বরের ২ টা পরিক্ষায় অংশগ্রহন করে!!
এবং প্রতিটা ৫ করে পেলেও সে পাবে ১০।
পক্ষান্তরে কেউ যদি ৫ নম্বরের ২০ টা পরিক্ষায় অংশ গ্রহন করে।
প্রত্যেকটা ২ করেও পায় তবুও সে পাবে ৪০।
এর দ্বারাই কি বোঝা যায় না। আল্লাহ যাকে ভালোবাসেন তিনি তার বেশি পরিক্ষা নেন!!
"আমরা অজ্ঞ তাই বোঝি না যত বেশি পরিক্ষার সম্মখিন হবো ততই পরকালে বেশি পুরস্কৃত হবো!!
আমাদের সকলের উচিত সব সময় আল্লাহ তা'আলার উপর ভরসা করে। ধৈর্য্য ধারন করা_______
আল্লাহ আমাদের সকল কে তার উপর ভরসা করে ধৈর্য্য ধারন করার তাওফিক দান করুন___(আমিন)
#নানান problems এর কারনে শেষ পর্বটা দিতে দেরি হলো!!
আর keyboard এর typing এ বিরাট problem তাই বানান একটা লেখলে আরেকটা হয়ে যায় অনেক সময়...তাই
#ভুল-ত্রুটি গুলো ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখার বিশেষ অনুরোধ।
#আল্লাহ তা'আলার অশেষ রহমতে সামনে আমার Final পরিক্ষা তাই গল্পটা শেষ করে দিলাম______
সকলের নিকট দোয়ার প্রার্থী____
0 coment rios: