শনিবার

#হুজুরের_(______) #দ্বিতীয়_পর্ব____

 #হুজুরের_(______)
#দ্বিতীয়_পর্ব____

"যদি বিয়ের প্রথম দিনই কোনো বর তার বউ কে জানিয়ে দেয় সে এই বিয়েতে রাজী ছিলো না বাবা-মার চাপে পরে বিয়েটা করতে বাধ্য হয়েছিলো________
তখন কেমন লাগতে পারে সেই মেয়েটির...???
"সেদিন আমায় কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে ওনিই বলে যাচ্ছিলেন.....
আমি শ্রোতা হয়ে নীরবে কথা গুলো শুনেই যাচ্ছিলাম________
বলতে বলতে এক সময় বলেই উঠল," রুম্পা কে আমি খুব ভালোবাসি। তাকে ছাড়া নিজেকে কখনো কল্পনাও করতে পারি না______আমি রুম্পা কে ছেড়ে বাঁচতে পারবো না। আমি এই বিয়েটা just মানি না_____
"এবার লক্ষ্য করলাম কিছুক্ষনের জন্য চুপ হলেন...ভাবলাম হয়তো বলা শেষ.........
" কিন্তু না থামে নি______
নিজেকে সামলাতে না পেরে এবার আরেক টি গুন আমার সামনে প্রকাশ করল........
সিগারেট টা জ্বালিয়ে ভেতর দিকে টান দিয়েই যেনো সব দুঃখ গুলো ভুলার বৃথা চেষ্টা করল________
"আবার বলা শুরু করল," তুমি একটা ভালো মেয়ে আমি চাই না তোমার জিবন টা নষ্ট হউক। তাই সব সত্য বলে দিলাময় এবার তুমিই ঠিক কর তুমি কি করবে......
এখানে থাকবে নাকি নতুন করে নিজের জীবন টা শুরু করবে....????
"আজ যেনো চোখ দিয়ে পানিও বের হতে চাচ্ছে না............
যেনো অন্তরটা পাথরে পরিনত হয়ে গেছে.......
এতটুকুই বললাম," আমার প্রতিদিনের মোনাজাতে চাওয়া ছিলো একজন দ্বীনদার আল্লাহভীরু স্বামী_____
যার সাথে আমি জান্নাতে থাকার সপ্ন দেখতাম......
ওসিলা হিসেবে যাকে আমার দ্বীন পূর্ন করায় সহায়ক ভাবতাব......
"যার সাক্ষাতে আমি আল্লাহ তা'আলা কে স্মরন করতে পারবো ভাবতাম________
"আমি এমন একজনের কাছে এমন কিছু চেয়েছি যেখানে হতাশ হওয়ার বিন্দুমাত্র কোনো কারন নেই........
❤❤আমি তো সেই সত্তার কাছে____সেই মহান রবের কাছে চেয়েছি যিনি বান্দাকে নিরাশ করেন না____
আর যা চেয়েছি তাতো শরীয়তের বিরুদ্ধে না_____আমার সেই রবের কাছে চাওয়া পর তিনি স্বামী হিসেবে আপনাকে দান করেছেন_____
" নিশ্চয় তার মর্জিতেই রয়েছে আমার জন্য সর্বোত্ত মফয়সালা______
"সেদিন ওনার কাছে বেশি কিছু চাইনি শুধু দুটি বিষয়ে ওয়াদা নিয়েছিলাম______
১)আমার দ্বীনি কাজে কখনই যেনো ওনি কোনো বাধা না দেয়।
২)ইসলামের কোনো বিষয়কে যেনো কখনই হেও না করেন......
"ওনি সেই দিন এই দুটি শর্তে ওয়াদা করেছিলেন।
" তারপর থেকে শুরু হয় আমার দর্শক হয়ে ওনার লাগামহীন জিবন-যাপন দেখা_________
"আমি ভেবেই পাচ্ছিলাম না কি করে এরূপ বেদ্বীন কে দ্বীনের পথে আনা যায়........
" দিন যত যাচ্ছিলো রুম্পার সাথে ওনার সম্পর্কটা ও ঠিক ততটাই গভীর হচ্ছিলো!!!!
"অসৎ সঙ্গ, পরক্রিয়া, সিগারেট, বদ অভ্যাস____ সম্পুর্ন সুন্নতের বিপরীত জিবন-যাপনে আসক্ত মানুষ টাকে দ্বীনের পথে আনার অনেক ইচ্ছা থাকলেও কোনো উপায় খোঁজে পাচ্ছিলাম না........
আসা যখন নিরাশায় রূপ নেয়।হতাশা যখন চরমে পৌছে_____ চেষ্টা যখন ব্যর্থতায় পরিনত হয়ে যাচ্ছালো________
" আলহামদুলিল্লাহ...!!
"আল্লাহ আমায় উপায় বের করে দিলেন______
"আল্লাহ নামে শুরু করে দিলাম বেদ্বীন কে দ্বীনের পথে আনার এক অবিনব কোশল________
" আমি কখনই তাকে বলতাম না ___ এটা আমার পছন্দ না ওটা খারাপ লাগে____বরং বলতাম এটা আল্লাহ পছন্দ করেন না____
ওটা রাসূল(সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পচ্ছন্দ করেন না।
"আমি কখনই ওনাকে বলতাম না ফজরের নামাজ পড়তে উঠেন কারন অনেক দিন নামাজ না পড়ায় উনার অন্তরটা শক্ত হয়ে গিয়েছে, তাই উঠবেন না.....বরং আমি এভাবে বলতাম," আমি ফজরে একা নামাজ পরতে উঠতে ভয় পাই....আপনি কি একটু উঠে বসবেন...??
আল্লাহ তা'আলা চাইলে তাহলে আমি নামাজ টা আদায় করতাম....!!
"নামাজ বলে কথা তাই না উঠে পারতো না....
অজু করে এসে বলতাম বসেই তো থাকবেন চাইলে নামাজ টা পড়তেই পারেন এতে আল্লাহ খুশি হবে শয়তান নারাজ হবে!!
আমার নামাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত বসে থাকতেন......
প্রথম প্রথম নামাজ পড়তেন না.......
নামাজ শেষ করে উঠে বলতাম," আপনি আজ ওছিলা হিসেবে আমার ভয় কে দূর করেছেন.....কাল কেয়ামতের দিন যে দিন সকলেই ভীতু থাকবে আল্লাহ যেনো আপনাকে সেই দিন নিরাপদ রাখেন।
এবং আপনাকে ভয় মুক্ত করেন....আল্লাহ যেনো আপনাকে বিনা হিসেবে জান্নাত দান করেন...আমিন....
"ঘুম ঘুম চোখে আমার দোয়া গুলো শুনে আমার দিকে স্পষ্ট ভাবে চেয়ে একটা মুচকি হাসি দিয়ে আবার শুয়ে পড়তেন।
এভাবে এক মাস অতিবাহিত হওয়ার পর
❤আলহামদুলিল্লাহ❤
একদিন ওনি সত্যিই আমার পাশে নামাজে দাড়িয়ে যান......
#বি_দ্র___এটা আমার জিবনী নয়_____এটা একটা আত্মলোচনা মূলক শিক্ষনীয় গল্প!!!!




শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: