#হুজুরের(____)
#প্রথম_পর্ব_____
"মাদ্রাসায় পড়ুয়া একটা মেয়ে আলেমা হবে এটাই স্বাভাবিক।
কিন্তু জেনারেল লাইনে পড়ুয়া একটা মেয়ে আলেমা হবে এটা স্বাভাবিক নয় বরং অসম্ভব প্রায়______
" মুসলিম পরিবারে জম্ম নেওয়া আর পাঁচ টা আলেমার মতো আমারো হক ছিলো আলেমা হওয়ার মতো একটা সুন্দর পরিবেশ পাওয়া। আমারো হক ছিলো অন্তরে এবং বাহ্যিক ভাবে ইসলাম কে অনুসরন করে একজন প্রাকটিসিং মুসলিমা হওয়া।
আমার বাবা-মা গরীব ঘরের সন্তান তাই তারাও তো পায়নি সঠিক ভাবে ইসলামের সকল আদেশ-নিষেধ, বিধি-বিধানগুলো কে সঠিক ভাবে জানার সুযোগ!!
তাহলে আমাকে শিক্ষা দিবে কি করে....???
"কি করে বোঝবে ইসলামের হুকুম গুলোর গুরুত্ব যদি না জানারই সুযোগ পায়...??
কি করে বোঝবে ভালো আর মন্দের তফাত যদি ভালো মন্দের বৈশিষ্টই না জানা থাকে...???
" না.....তারা জানে না এটা তাদের ইচ্ছাকৃত অপরাধ নয়....!!!
"এটা তাদের ভাগ্যের লিখন......হয়তো মহান রব এসবেই রেখেছে কল্যান!!
" মা-বাবার অনেক বড় সপ্ন ছিলো আমাকে মানুষের মত মানুষ করা তাই লেখা-পড়া করার জন্য স্কুলে ভর্তি করেছিলে!!!
"হয়তো জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার কারনেই উপলব্ধি করতে পারে নি স্কুল আর মাদ্রাসার মুল পার্থক্যটা!!
" যখন আমি আঠারো বছরের তরুণী______
আলহামদুলিল্লাহ__
তখন সন্ধান পাই স্বীয় রবের...
সত্যের....আলোর...মুক্তির.......
আলহামদুলিল্লাহ সেদিন থেকেই প্রাকটিসিং মুসলিমাহ হওয়ার অবিরাম চেষ্টা করছিলাম।
"কিন্তু আমার পরিবর্তন যেনো অনেকের হাসির কারন হয়ে দাড়ায়....!!
আমাকে পদে পদে হেও করা যেনো কারো কারো দৈনন্দিন পেশায় পরিনত হয়ে গেলো____
" এ সমাজ পারে মাদ্রাসায় পড়ুয়া সেই আলেমা কে এক সমুদ্র সম্মান উজার করে দিতে।
কিন্তু সেই সমুদ্রের এক বিন্দু পরিমান সম্মান আমায় দিতে যেনো তাদের খুব কষ্ট হয়!!
"এ কেমন বিচারে এ সমাজের মানুষের...??
" যে সকল সুবিধা পেয়ে আলেমা হয়ে পর্দা করে তখন তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে যায়....
আর যখন একজন জেনারেল পড়ুয়া মেয়ে সম্পূর্ন বিপরীত পরিবেশ থেকে নিজেকে আল্লাহর হুকুম পালোনের জন্য পর্দা আবদ্ধ রাখতে চায় তখন তাকে ঢং বলে সম্বর্ধন করে...???
"আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর হেদায়েত পাওয়ার সাথে সাথেই বদলে যায় আমার চাওয়া গুলোও......
এখন আর ধনী কোনো রাজপুত্রের সপ্ন দেখি না____
করি না কোনো রূপবান যুবকের আগমনের আসা।
" এখন একটাই সপ্নই সবসময় দেখি হুজুরের বউ হওয়া______
"আমাকে বাস্তবতা সেদিনো ছাড় দেয়নি....
যেদিন পাত্র পক্ষ প্রথম আগমন করেছিলো আমাদের বাড়ি.......
" যখন আমি কঠোর ভাবে ১৪ জন মাহরাম মানতে দৃঢ় সংকল্পে আবদ্ধ ঠিক তখনই নামধারী কিছু আলেমা কে উদাহর করে আমায় ভুলানোর চেষ্টা করা হয়.......
যেই সব নামধারী আলেমা জানে কিন্তু আমলে নেয় না তারা যখন পাত্র পক্ষ থেকে আগত সকল গায়রে-মাহরামদের সামনে অবলিলায় দেখা দিতে আসতে পারে তখন আমাকে প্রশ্ন বিদ্ধ করা হয় আমি কেনো আসতে পারি না....???
তারা আলেমা এত কুরআন-কিতাব পড়েছে তারা আসতে পারলে আমি কেনো পারবো না...??
আমি কি তাদের থেকে বেশি জানি নাকি...??
"বুকটা তখনই কষ্টে ফেটে যায় যখন আল্লাহর বিধান পালন করা না করা কোনো নামধারী আলেম বা আলেমার আমল করা না করার উপর নির্ভশীল করে তুলা হয়!!
" কিন্তু মা কে আমি সেইদিনই জানিয়ে দিয়েছিলাম পাত্র ছাড়া বিয়ের ক্ষেতে আর কোনো নন মাহরামের সামনে আসার বিধান ইসলামে নাই....তা কোনো আলেমা মানুক বা নাই মানুক তার মানা না মানা কখনই ইসলামের বিধি-বিধানের মাপকাঠি হতে পারে না......
তাই আমি পাত্র ছাড়া বিয়ের পূর্বে তার পক্ষের কোনো নন মাহরামের সাথে দেখা দেবো না।
বাবা-মা তাই মেনে নিয়েছিলো কিন্তু....
এরকম শর্তে কেউ বিয়ে করতেই আসকে রাজী ছিলো না...তাদের যুক্তি একটাই বিয়ের ক্ষেত্রে সকলেই দেখতে পারবে ......
"দিনের মন দিন যাচ্ছিলো কিন্তু এমন কথা শুনে কেউ আর বিয়ের প্রস্তাব আনেনি......
যখন আমার বাইশ বছর তখন পাড়া প্রতিবেশির কটু কথায় বাবা-মা অতিষ্ঠ হয়ে আমাকে অজান্তের এমন এক পাত্রের সাথে বিয়ে দেয়....যিনি আধুনিকতার একজন সেবক.......
বিয়ের প্রথম দিনই জানিয়ে দেন ওনি পরক্রিয়ায় আসক্ত....
#চলবে......
0 coment rios: