#হুজুরের(_____)
#তৃতীয়_পর্ব_____
"বিয়ের পর এই প্রথম ওনাকে স্ব-চোক্ষে নামাজ পড়তে দেখেছিলাম______
" তাই সেই আনন্দে চোখের পানি আর আটকে রাখতে পারি নি।
"যতটা খুশি হয়েছিলাম ঠিক ততটাই ভীতু হয়েছিলাম এটা ভেবে যে," আজ আমি একা উঠে ফজরের নামাজ আদায় করতে ভয় পাই বলে ওনি রোজ আমার সাথে উঠেন......
আলহামদুলিল্লাহ নামাজ ও পড়েন.....
কিন্তু যদি আমি না থাকি আমার অবর্তমানে উনি কি তখন ফজরের আযান শুনে উঠবেন...!!
"কিছুতেই যেনো সস্তি পাচ্ছিলাম না!!
" আলহামদুলিল্লাহ....
অবশেষে উপলব্ধি করতে পারলাম ওনার সাথে মসজিদের একটা গভীর সম্পর্ক গড়তে হবে____
"ওছিলা হিসেবে গড়তে হবে মহান রব আল্লাহ তা'আলার সাথে ওনার অন্তরের এক অটুট ভালোবাসা______
তবুও ওনাকে আমি কখনই বলি নি _____
আপনাকে মসজিদে গিয়েই নামাজ পড়তে হবে!!!
বরং বলেছিলাম," আপনি নামাজ পড়েন কেনো??
ওনি বলেছিলেন," সওয়াব পাওয়ার আসায়।
তখন আমি বললাম," এটা ছাড়াও আরো একটা বড় কারন আছে হয়তো আপনার খেয়াল করেন নি........
তা হলো মহান রব আল্লাহ তা'আলার সন্তুষ্টি।
উনি হেসে বলে উঠলেন," সত্যিই তো আমি ভুলে গিয়েছিলাম_______
"তুমি যে কি করে এত কিছু মনে রাখো....!!!
" তারপর আমি ওনাকে বললাম," আমি একটা কাজ করতে চাচ্ছি আমাকে একটু সাহায্য করবেন.....!!!
ওনি অবিলম্বে বলে দিলেন," অবশ্যই" বল কই সাহায্য করতে পারি তোমায়...??
"আমি বলি নি ইং..শা..আল্লাহ বললেল না কেনো বরং বলেছি______আল্লাহ তা'আলা এরূপ বলাকে পছন্দ করেন না।
বরং কিছু করব বলার আগে ইং_শা_আল্লাহ বলা পছন্দ করেন।
" এবার একটু মুচকি হাসি দিয়ে বললেন,"ইং_শা_আল্লাহ তোমায় সাহায্য করবো।
এবার তো বল কি কাজ.........
"অতপর আমি একটি কাগজের টুকরো ও একটি কলম বের করলাম________
এবং ওনাকে বললাম এই নিন কলম আর কাগজ....
মাশ_আল্লাহ... আপনার হাতের লেখা অনেক সুন্দর......তাই আমি চাই এ কাগজে আমি যা বলব তা আপনি একটু কষ্ট করে লিখে দিন।
" ওনি বললেন okk বল____
আমি বললাম লিখুন," হে নারী যে ঈমান তোমাকে জায়নামাযে এনে দার করাতে পারে না সে ঈমান তোমাকে কি করে জান্নাতে নিয়ে দাড় করাবে!!!
ওনি চুপ করে আছেন ।____আমি বললাম কি হলো লিখুন কিছু বলতে গিয়েও না বলেই লিখলেন।
বললেন আর কিছু????
আমি: জ্বী....লিখুন...
"হে পুরুষ যে ঈমান তোমাকে মসজিদে নিতে পারে না সে ঈমান তোমাকে জান্নাতে নিবে কি করে!! ভেবে দেখেছো কি কখনো....???
ওনি এবার যেনো একটু অসস্তিতে পরে গেলেন তবুও কিছু না বলেই লিখলেন এবার আমি বললাম," এই লেখাটা দয়া করে ঐ দেয়ালটায় লাগিয়ে দিন....??
"ওনি বললেন কেনো..!!
এটা দেয়ালে লাগাতে হবে কেনো...!!!!
আমি একবারো বলি নি," আপনার জন্যই লাগাতে চাচ্ছি!! বরং বলেছি, "
"আমার ব্যস্ত জিবন যেনো আমায় আমার মহান রবের স্মরন থেকে গাফেল করে না ফেলে তাই এটা চোখের সামনেই লাগিয়ে রাখতে চাচ্ছি।
"উক্ত লেখাটা ওনার মনে অল্প হলেও ভীতির উদয় করেছিলো তা ওনাকে দেখেই বোঝা যাচ্ছিলো_______
"লেখাটা লাগানোর পরেও ওনি অনেক দিন ঘরেই ফজর নামাজ পড়তেন______
" একদি উনি অজু করে ঘরে নামাজ পড়তে অগ্রসর হচ্ছিলেন.....তখন আমি বলিনি......আপনি মসজিদে যান বরং বলেছি মহান আল্লাহ তা'আলা সুস্থ ও সামর্থবান পুরুষের জন্য ঘরে নামাজ পড়াকে পছন্দ করেন না। বরং জামাতে নামাজ পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আর জামাতের সাথে নামাজ পড়লে একাকী নামাজ আদায় করার চেয়ে সাতাশ গুন বেশি সওয়াব হয়। আপনি আল্লাহ তা'আলার সন্তুষ্টি ও সাতাশ গুন বেশি সওয়াব পেতে চাইলে মসজিদে যেতেই পারেন।
প্রথম প্রথম যায়নি।
আলহামদুলিল্লাহ অনেকদিন পরে হলেও একদিন ঠিকই মসজিদে চলে যায়........
নামাজ পরলেও ওনি সিগারেট পরক্রিয়া থেকে একেবারেই বেরোতে পারে নি তখনো______
"সেদিন যখন ঘরে বসেই সিগারেট টা জ্বালিয়ে দিয়েছিলো!!!
" আমি বলি নি এসব বাজে জিনিস বাদ দিন....
আর এসব বাইরে গিয়ে খাবেন.....
বরং বলেছি," আল্লাহ তা'আলা ও তার রাসূল(সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ জাতীয় বস্তু অপছন্দ করতেন... আর সিগারেটের গন্ধে আমার খুব কষ্ট হয়___
"ওনি সিগারেট টা ফেলে দেন নি বরং তা নিয়ে বারান্দায় চলে গিয়েছিলেন.....আল্লাহ তা'আলার নিকট অন্তর থেকে ওনার জন্য হেদায়েতের দোয়া করেছিলাম।
যখন ওনি ঘরে আসলেন তখন বললাম," আপনি আমার একটা কষ্ট ওছিলা হিসেবে দূর করেছেন____ মহান রব আল্লাহ তা'আলা যেনো আপনার ইহকাল-পরকালের সকল কষ্ট দূর করে দেন।মালক যেনো আপনাকে উভয় জাহানে সম্মানিত করেন!!
প্রভু আপনার মনের সকল নেক নিয়ত গুলো কবুল করুন____আমিন!!
"ওনি অবাক ভাবে অপলক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে ছিলেন____
ওনার তাকানো দেখে মনে হচ্ছিলো আজ জিবনের প্রথম আমাকে দেখছেন__________
" কিছু একটা বলার জন্য ঠোঁট নাড়ালেন______
0 coment rios: