★ #কাযা সালাত নিয়ে কিছু কথা ★
কিভাবে কাযা সালাত আদায় করব?
কাযা নাজায আদায় করার নিয়মঃ
#সালাত
=> প্রথমত আমাদের জানতে হবে, জিব্রাঈল আ: যখন বায়তুল্লায় আসলেন তখন কিভাবে(পদ্ধতি) সালাত আদায় করতে হবে এবং কখন(ওয়াক্ত) আদায় করতে হবে তা নবিজী সা: শিখিয়ে গেছেন..!
=> সুতরাং সুর্য উঠার পর ফজর সালাত আদায় করলে তা কবুল হবে নাহ, কারন এই সালাত জিব্রাঈল আ: শিখান নাই..!
=> দ্বিতীয়ত আমাদের এ কথাও মনে রাখতে হবে, আল্লাহ্ পাক পবিত্র কোরআনে বলেন, "তাদেরকে কেবলমাত্র এই নির্দেশ করা হয়েছে যে, তারা খাঁটি বিশ্বাসের সাথে এবং একনিষ্ঠভাবে আল্লাহ্র ইবাদত করবে, সালাত কায়েম করবে এবং যাকাত আদায় করবে, এটিই সঠিক দ্বীন"..! (সুরা বাইয়্যেনাহ, আয়াত নং ৫)
=> সুতরাং সালাত আমাদের আদায় করতেই হবে, সময়মত করতেই হবে, এবং ইচ্ছাকৃত ছেড়ে দিলে কোন মাফ নেই বরং খুব কঠিন শাস্তিদান করা হবেই হবে যদিচ সে মুসলিম হয়ে থাকে..!
=> তাইতো আল্লাহ্ পাক বলেন, "নিশ্চয় সালাত বিশ্বাসীগনদের উপর নির্দিষ্ট সময়ে নির্ধারণ করা হয়েছে"..! (সুরা আন আম, আয়াত নং ১০০)
=> তিনি আরোও বলেন, "অবশ্যই সফলকাম হয়েছে মুমিনগন যারা বিনয় নম্র নিজেদের সালাতের প্রতি"..! (সুরা মুমিনুন, আয়াত নং ১,২)
#কাজা সালাতঃ
=> এই ব্যাপারে প্রথম কথা হলো, সালাতকে আল্লাহ্ পাক প্রতিষ্ঠিত করতে বলেছেন, কাযা সালাতকে নয়, সুতরাং ইচ্ছাকৃত ভাবে সালাত ছেড়ে দিলে হাজার হাজার ইবাদাত করলেও সেই বেখায়ালিপনার শাস্তি আপনাকে পেতেই হবে..!
=> নবিজি সা: ও সাহাবী আ: জীবনী থেকে জানা যায়, কেবলমাত্র দুইটি ক্ষেত্রেই কাযা সালাত প্রযোজ্য, তৃতীয় কোন কারন নেই..!
প্রথম ক্ষেত্র:
=> সালাত পড়তে ভুলে গেলে..!
=> এক্ষেত্রে মনে যখন হবে, সাথে সাথে পড়ে নিবেন, দেড়ি করা যাবে নাহ..!
=> তাহলে কোন গুনাহ হবে নাহ, কারণ ভুলে ভুল করেছিলেন..!
দ্বিতীয় ক্ষেত্র:
=> অনিচ্ছাকৃত ঘুম চেপে গেলে..!
=> চেষ্টা ছিলো সালাত আদায় করার, কিন্তু অনিচ্ছাকৃত ঘুমের জন্য তা আদায় করতে পারেন নাই..!
=> এক্ষেত্রে যখনই ঘুম ভাঙবে তখন সালাত আদায় করে নিবেন..!
=> তাহলে গুনাহ হবে নাহ, কারন অনিচ্ছাকৃত ভুল হয়েছিলো..!
#জেনে রাখুন:
=> ভেবে দেখুন, যুদ্ধের ময়দান ছাড়া বাকি সবকিছু হলো হাল্কা ময়দান..!
=> আর যুদ্ধক্ষেত্রেও আমাদের নবিজী সা: সালাত আদায় করেছেন..!
=> সুতরাং আপনি সফরে হোক, ট্রেনে হোক, বাসে হোক, গাড়িতে হোক, প্লেনে হোক, হাটে হোক, বাজারে হোক, কাজে হোক, ডিউটিতে হোক, ক্লাসে হোক, দারিয়ে হোক, বসে হোক, শুয়ে হোক, ইশারায় হোক, যে কোন জায়গায় থাকেন নাহ কেন, সালাত আদায় করতেই হবে..!
#কাফফারা সালাত:
=> সালাতের কাফফারা একটিই..!
=> আর তা হলো সালাত আদায় করে নেওয়া..!
=> সকল ইবাদাতের বিকল্প কাফফারা আছে, কিন্তু সালাতের কাফফারা শুধু সালাতের মাধ্যমেই হবে..
#কাযা সালাত এর নিয়ম:
=> প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত ফরজ সালাত আপনি যেভাবে আদায় করেন কাজা সালাত ঠিক একই ভাবে আদায় করবেন..!
=> বিশেষ কোন প্রকার পার্থক্য নাই..!
=> শুধু নিয়ত করবেন এইভাবে যে, আপনি ভুলবশত অথবা অনিচ্ছাবশত ফরজ সালাত আদায় করতে পারেন নাই, তাই আপনি অনুতপ্ত, আর এমনটি যেন নাহ হয় সেজন্য আল্লাহ পাকের কাছে সাহায্য চাইবেন..!
#বিশেষ কথা:
=> বিচারের দিন যখন ফরজ সালাতে ঘাটতি হবে তখন আল্লাহ্ পাক দেখবেন তার বান্দার কোন নফল সালাত আছে কি নাহ, নফল দান খয়রাত আছে কি নাহ, সে তওবাকারী কি নাহ..!
=> তাই সেই দিক গুলুতে আমাদের বেশি বেশি খেয়াল রাখতে হবে..!
[] আল্লাহ্ পাক আমদেরকে সঠিক সময়ে, সঠিকভাবে সালাত আদায় করার তৌফিক দান করুন..!
[] আমিন..💜
0 coment rios: