সুন্নত জিন্দার মিশন....পর্ব ০৩
খালিদ মোহরানার টাকা নিয়ে আসে.. রিমার হাতে টাকাগুলো দিয়ে বলে এই গুলো আপনার... এই গুলো মোহরানার টাকা. এই টাকার প্রতি আমার কোন এখতিয়ার নাই. আপনার যেভাবে ইচ্ছে ঐ ভাবে খরচ করবেন..
রিমাঃ এই টাকা গুলো আমি এখন কি করবো..??
খালিদঃ ঐযে ঐ ড্রয়ার টা আছে ঐ টা আপনার. এখন ঐখানে রেখে তালা মেরে দিন. পরে আপনার ইচ্ছে মত খরচ করিয়েন..
রিমাঃ আজকাল কেউ বসররাতে মোহরানা আদায় করে নাকি...
খালিদঃ এটা শরীয়তের হুকুম. আদায় করতে হবেই. না হয় স্ত্রীকে স্পর্শ করাই তো যাবে না.. মোহরানা আদায় না করলে মারাত্মক গুনাহগার হবে...
রিমাঃআজকাল তো অনেকেই বউর থেকে মাফ চেয়ে নেই.বা কোন কোন মেয়ে বর যাতে রাগ না করে তাই অনিচ্ছাসত্ত্বেও মাফ করে দেয়..
খালিদঃ এইগুলো তো পুরাপুরি শরীয়ত পরিপন্থী কাজ.. বউ থেকে মাফ চাওয়ার অধিকার কে দিলো.?. আকুতি মিনতি করে মাফ চাইলে হবে না. মোহরানা পরিশোধ করতেই হবে. হ্যা তবে উপস্থিত টাকা না থাকলে সুনছি বউএর থেকে একটা নির্দিষ্ট সময় নিয়া যায়. বউ সময় দিলে ঐ সময়ের ভিতর পরিশোধ করার বিধান আছে...
রিমাঃ আচ্ছা... আমাদের তো বিয়ে আজ হঠাৎ ই হলো.. তাহলে আপনি এত টাকা কিভাবে জোগার করলেন
খালিদঃযে দিন থেকে ছাত্রজীবন শেষ করে কর্মজীবন(দোকান) শুরু করি এবং বিয়ে একদিন করবো এমন চিন্তা ফিকির করি ঐদিন থেকে মোহরানার জন্য টাকা জমা করতে থাকি.. আজ কয়েক বছরে অনেক টাকা জমিয়ে ফেলছি আর বাকিগুলো দোকান থেকে মিলিয়ে আপনার হক আদায় করেছি...কারন বিয়ের পর এটাই আমার প্রথম কাজ... তাই তার জন্য আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়ে ফেলছি..
রিমা খালিদের যতই কথা শুনে ততই মুগ্ধ হয়... একটি ছেলে শরীয়তের হুকুম মানার জন্য কত রকম চিন্তা ফিকির করে... আজকাল দিনে তো ছেলেরা মোহরানা নিয়ে তো কোন চিন্তাই করে না.. তাদের খেয়াল থাকে স্ত্রীর থেকে আকুতি মিনতি করে মাফ চেয়ে নিবে.অথচ উনি কত ব্যতিক্রম.. মোহরানা আদায় করতে হবে তার জন্য কত আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়েছিল..
সত্যি আমার নসীব ভালো..না হয় এমন ছেলেকে জীবনসজ্ঞী হিসেবে কেউ পাই...
সত্যি আমার নসীব ভালো..না হয় এমন ছেলেকে জীবনসজ্ঞী হিসেবে কেউ পাই...
খালিদঃ এই যে.... কি ভাবতাছেন...
রিমাঃ কিছুনা....একটু এদিকে আসুন তো,এখানে বসুন... আপনাকে একটু দেখি..(লজ্জা লজ্জা মুখে)
খালিদঃ লজ্জা পেয়ে,, এতো উল্টো হয়ে গেলো..
: কি উল্টো..?
:এতদিন শুনতাম বাসর রাত্রে বর তার স্ত্রী কে বলে ঘোমতা একটু সরান আপনাকে একটু দেখি বা ঘোমতা নিজে সরিয়ে তার বউকে দেখে, আর আপনি আমায় বলতাছেন আমাকে দেখবেন..? আর তাছাড়া আমি কালো মানুষ আমার আর কি বা দেখবেন.গত কয়েক বছর না দেখলেও ছোট বেলা থেকে ত দেখেই আসছেন.
: কি উল্টো..?
:এতদিন শুনতাম বাসর রাত্রে বর তার স্ত্রী কে বলে ঘোমতা একটু সরান আপনাকে একটু দেখি বা ঘোমতা নিজে সরিয়ে তার বউকে দেখে, আর আপনি আমায় বলতাছেন আমাকে দেখবেন..? আর তাছাড়া আমি কালো মানুষ আমার আর কি বা দেখবেন.গত কয়েক বছর না দেখলেও ছোট বেলা থেকে ত দেখেই আসছেন.
:তখন তো আপনি ছোটো ছিলেন. এখন কত পরিবর্তন হয়ে গেছেন.আর একটা কথা কি জানেন. আপনি কালো হলেও আপনার চেহারায় এক ধরনের মায়া আছে.আপনাকে আমার খুব পছন্দ হয়েছে.
খালিদঃ কি হয়েছে.???
রিমাঃ ভালো লেগেছে
খালিদঃ তাহলে বলে ফেলুন.
রিমাঃ কি বলে ফেলবো.
খালিদঃ ঐ যে ছেলে মেয়েরা একে অপরকে বলে...
রিমাঃ কি বলে...
রিমাঃ কি বলে...
খালিদঃ আরে... কি যেন বলে L... O... V... E
রিমাঃ ও...তো এই কথা আপনি বলতে পারেন না... নাকি আপনি আমায় ভালোবাসেন না..
খালিদঃ আরে কি যে বলেন.. আগে আপনি বলুন তারপরে আমি বলছি
রিমা: না আগে আপনি বলুন..
খালিদঃ না আপনি বলুন
রিমা: ঠিক আছে.... আমি......... আপনাকে...... ভালোবাসি (চোখ বন্ধ করে দীর্ঘ সময় নিয়ে)
খালিদঃআমিও আপনাকে খুব খুব ভালোবাসি.. i love you
রিমাঃ i love you 2.. এই বলে খালিদের কপালে আলতো করে আদর বসিয়ে দেয়.. আমি সত্যি আপনাকে খুব ভালোবেসে ফেলেছি...
তারপর দীর্ঘক্ষণ একে অপরের দিকে তাকিয়ে থাকে.
খালিদঃ এই যে দেখা শেষ হলো...
রিমাঃ হুম... কিছু বলবেন..
রিমাঃ হুম... কিছু বলবেন..
খালিদঃ এই তো সকাল বেলা আমাকে খালিদ/ তুই করে কথা বলছেন আর এখন দেখি আপনি করে বলতাছেন
: বাহ রে... ধর্মীয় ব্যপারে তো অনেক কিছু জানেন .বর কে আপনি করে বলতে হয় সেটা জানেন না.?
খালিদঃ তা ঠিক...
রিমাঃ আচ্ছা একটা কথা বলুন তো... আপনার তো এখন চাহিদার কথা একটা অল্প বয়সী কুমারী মেয়ে. যাকে কোন ছেলে স্পর্শ করে নাই. তাহলে আমার মত বিধবাকে কেন বিয়ে করলেন..?
চলবে ইনশাআল্লাহ
শিক্ষা
১) বউকে স্পর্শ করার আগে তার মোহরানা আদায় করতে হবে মনে রাখবেন মোহরানা পরিশোধ না করলে
কিয়ামতের ময়দানে ধরা খেয়ে যাবেন
২) কর্মজীবনে পা রাখার সাথে সাথে কিছু কিছু টাকা জমা রাখার অভ্যাস করুন ভবিষ্যৎ এ কাজে লাগবে
৩) (বোনদের জন্য) বরকে আপনি করে ডাকুন... নাম ধরে ডাকা থেকে বিরত থাকুন. সে বয়সে ছোট বা সমবয়সী হোক.. তবে বিষেশ প্রয়োজনে ভিন্ন কথা
কিয়ামতের ময়দানে ধরা খেয়ে যাবেন
২) কর্মজীবনে পা রাখার সাথে সাথে কিছু কিছু টাকা জমা রাখার অভ্যাস করুন ভবিষ্যৎ এ কাজে লাগবে
৩) (বোনদের জন্য) বরকে আপনি করে ডাকুন... নাম ধরে ডাকা থেকে বিরত থাকুন. সে বয়সে ছোট বা সমবয়সী হোক.. তবে বিষেশ প্রয়োজনে ভিন্ন কথা
শরীয়ত পরিপন্থী কাজ
১) মোহরানা অনেক বেশি ধরা হয়। যা একেবারেই উচিৎ না.. যে বিয়েতে খরচ কম সে বিয়ে বরকত ময়(আল হাদিস)
২)আকুতি বা মিনতি ভয় দেখিয়ে মোহরানা মাফ চাওয়া হয় এটা পুরাপুরি শরীয়ত পরিপন্থী কাজ... আপনার কাছে এখন না থাকলে স্ত্রী থেকে একটা নির্দিষ্ট সময় চেয়েনিন. ওই সময়ের ভিতর পরিশোধ করে দিয়েন..
৩) আধুনিক যুগে বোনেরা তাদের বরকে নাম ধরে ডাকে তা মোটেও উচিৎ না..
২)আকুতি বা মিনতি ভয় দেখিয়ে মোহরানা মাফ চাওয়া হয় এটা পুরাপুরি শরীয়ত পরিপন্থী কাজ... আপনার কাছে এখন না থাকলে স্ত্রী থেকে একটা নির্দিষ্ট সময় চেয়েনিন. ওই সময়ের ভিতর পরিশোধ করে দিয়েন..
৩) আধুনিক যুগে বোনেরা তাদের বরকে নাম ধরে ডাকে তা মোটেও উচিৎ না..