মঙ্গলবার

#নিয়তি-২(পর্ব--৭) । লিখা-- আসমা আক্তার পিংকি।

 #নিয়তি-২(পর্ব--৭) । লিখা-- আসমা আক্তার পিংকি।

শিউলি বেগমের এরুপ কথায় নাজিফা বারবার ওর শাশুড়ির দিকে তাকাচ্ছিলো, কেননা নাজিফার বিশ্বাস ছিলো আল্লাহ সবসময় সত্যের পাশে থাকে,,, আর নিশ্চয় আমার শাশুড়ি বুঝতে পারবেন ছোট মা সত্যি বলছে নাকি মিথ্যে বলছে।
সালেহা বেগম নাজিফার দিকে তাকিয়ে,,, শিউলি বেগমকে বলতে লাগলো--- আমি জানি শিউলি কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্যে। আল্লাহ আমাকে বিবেক দিয়েছেন আর সেই বিবেক বলে আমার নাজিফা কখনোই এমন কোনো কাজ করতে পারেনা যার জন্য আমি ওর উপর অসন্তুষ্টি হবো।
নাজিফা সালেহা বেগমের এমন উক্তি শুনে ইমাদের দিকে তাকাতেই দেখে ছেলেটি ইশারা দিয়ে বারবার - বারবার নাজিফাকে হাসতে বলছে৷
নাজিফা মুখে মুচকি হাসি নিয়ে ---- আলহামদুলিল্লাহ।
শিউলি বেগম--- তুই কিন্তু এটা ঠিক করলি না আপা একদিন বুঝবি আমি যা বলেছি সব সত্য।
সালেহা বেগম শিউলি বেগমের কথায় গুরুত্ব না দিয়ে ,,, নাজিফাকে ইশারা করে ---- নাজিফা মা আমার শরীরটা ভালো লাগছেনা প্লিজ আমাকে একটু ঘরে দিয়ে আয় তো।
এই বলে সালেহা বেগম উঠে দাঁড়াতেই ঠাস,করে নিচে পড়ে গেলো। নাজিফা চিৎকার দিয়ে কাছে গিয়েই সালেহাকে জড়িয়ে ধরলো , ইমাদ বিছানা থেকে নিচে নেমে মাকে ধরে বিছানায় শোয়ায়৷
ভয়- ভয়,কন্ঠে ডাক্তার কে ফোন করে--- হ্যালো ডাক্তার প্লিজ তাড়াতাড়ি আমাদের বাড়িতে আসুন,, আমার, মা, অজ্ঞান হয়ে গেছে।
নাজিফা ইমাদকে বলতে লাগলো--- প্লিজ তুমি এতো টেনশান করো না,,, উপরে আল্লাহ আছেন নিশ্চয়ই মা ঠিক হয়ে যাবে,, আল্লাহর উপর ভরসা রাখো।
.
.
.
কিছুক্ষন পর ডাক্তার এসে সালেহা বেগম কে দেখে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ইমাদকে বলতে লাগলো--- আপনার মায়ের এই অবস্থা কেন??
---- মানে???
---- ওনি কি নিয়ে এতো চিন্তা করে।
ইমাদ কিছুই বলতে পারলোনা।
---- দেখুন ওনি যে ভাবে টেনশান করছে এতে ওনার প্রেশার, ডাইবেটিস একে বারে হাই হয়ে যাচ্ছে৷ এভাবে চলতে থাকলে ওনি যখন - তখন স্টোর্ক করতে পারেন,,, প্লিজ ওনাকে চিন্তা থেকে দূরে রাখুন, ঘুমাতে বলুন, আর এই ঔষধ গুলো আপাদত খাওয়াবেন তারপর কি হয় শরীর অবস্থা আমাকে জানাবেন।
.
.
.
ডাক্তার যেতেই নাজিফা রুমে ঢুকে দেখে ইমাদ মাথায় হাত দিয়ে বসে রয়েছে।
নাজিফা--- কি হয়েছে ডাক্তার কি বলেছে???
ইমাদ--- কি আর বলবে তুমি যা ভয় পেয়েছো তাই হয়েছে।
---- মাকে কতবার বললাম এভাবে টেনশান করবেন না, কিন্তু কে শুনে কার কথা।
ইমাদ রেগেমেগে চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়িয়ে,কাঁচের ফুলদানিটা হাতে নিতেই,,
নাজিফা--- কি নিতুর উপর রাগ উঠেছে৷ এখন, ফুলদানি টা ভাঙবে, নিজের হাত আবার ও কাঁটবে,,এই সবেই করবে,, কখনোই আল্লাহর জন্য নিজের রাগটাকে কন্ট্রোল করার চেষ্টা করবেনা আর কখনোই আমার কষ্ট টাও বুঝলেনা।
ইমাদ নাজিফার মুখের পানে চেয়ে ফুলদানি টা রেখে দিলো,,, তারপর সালেহার মাথার পাশে বসে ---- মা তোমার কিছু হবেনা, কিচ্ছু না।
প্রায় ঘন্টাখানেক পর সালেহা বেগমের জ্ঞান ফিরতেই ওনি বারবার - বারবার নাজিফাকে ডাকতে লাগলো।
ঘর ভর্তি বাড়ির সবাই ব্যাপারটাকে ভালো ভাবে নেয়নি, বিশেষ করে শিউলি বেগম আর ফাহমিদা।
শিউলি বেগম ভ্রু কুঁচকে --- মেয়েটি জাদু পারে নিশ্চয়।
কথাটি ইমাদের কানে যেতেই, ইমাদ যেই বড় চোখে ওনার দিকে তাকালেন অমনেই ওনি চুপ হয়ে গেলেন।
নাজিফা সালেহা বেগমের কানের কাছে গিয়ে ফিসফিস করে--- মা এই যে আমি কি কষ্ট হচ্ছে আপনার।
সালেহা বেগম টপটপ করে চোখের জল ফেলে--- মা প্লিজ তুই ইমাদকে বল যতো তাড়াতাড়ি পারে নিতুর বিয়েটা দিয়ে দিতে,, আমার খুব ভয় হয় না জানি ও কোন গুনাহের মধ্যে দিনদিন লিপ্ত হচ্ছে। একবার ভাব মা, সেই সকালে বের হয়ে যায় রাতে আসে,,, আমরা কেউ জানি না সারাদিন ও কার সাথে থাকে, কি করে। মা আমার খুব ভয় লাগছে শেষমেশ ও নাকি আমার মুখে চুনকালি দেয়। ওর যতদিন বিয়ে না হচ্ছে ততদিন আমার শান্তি নেই।
নাজিফা বুঝতে পারছিলো না ওর শাশুড়িকে কি বলে শান্তনা দেওয়া উচিত,,,,মেয়েটি ও কতরাত এই ভাবনায় নির্ঘুম ছিলো,,, সাধারনত এই বয়সের মেয়েরা খুব বেশি আবেগী প্রবন হয়, এরা আবেগের বর্শে এতো বেশি ভুল করে যা পুরো জীবনটাকে ছারখার করে দেয়, আর নিতুর মতো একটা মেয়ে যে কোনটা ভুল , কোনটা ঠিক তাও জানেনা, সে খুব সহজেই ভুল কাজ করে জীবনটাকে জটিল করে ফেলতে পারে।
.
.
নাজিফা সালেহা বেগমের কানের কাছে নিজের মুখটাকে নিয়ে--- আপনি কোনো চিন্তা করবেন না আমি ওয়াদা দিচ্ছি আমার জীবন থাকতে আমি ওকে সমস্ত খারাপ জিনিস থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করবো, আর খুব শিঘ্রই ভালো একটি ছেলের হাতে ওকে তুলে দিবো,ইনশাআল্লাহ।
সালেহা বেগম নাজিফার কথায়, শান্তির দীর্ঘশ্বাস ফেললো,,, না এই মেয়েটিই নিতুকে আলোর পথে আনবে,,, আল্লাহ আমার মেয়েটিকে হেদায়েত দান করো। সালেহা বেগম নাজিফার দিকে তাকিয়ে আস্তে - আস্তে চোখ দুটো বন্ধ করে দিলো।
.
.
নাজিফা ইমাদের কাছে গিয়ে ---- আমি চাই এই সপ্তাহের মধ্যে যেনো নিতুর বিয়ে হয়ে যায়।
ফাহাদ নাজিফার কথা শুনে কিছুটা রেগে--- মগের মুল্লুক পেয়েছো নাকি। আর তাছাড়া তুমি কে যে তোমার কথামতো সব হবে।
---- এটা আমার কথা না ভাইয়া, এটাই মায়ের ইচ্ছে এবং মাকে আপনি সুস্থ দেখতে চাইলে এটা করতেই হবে।
ফাহাদ--- তোমাদের যা ইচ্ছে তা করো,, আফটারওল এখন তো এই বাড়ির মালিকেই তুমি।
ইমাদ--- এভাবে কথা বলছো কেন দাদাভাই,,,, নাজিফা কি ভুল বলেছে যে তোমার এভাবে আচরণ করতে হবে।।।
ফাহমিদা---- ইমাদ ইদানিং তুমি তোমার ভাইয়ের মুখের উপরে ও কথা বলো!!!! অবশ্য বলবে নাইবা কেন,, এখন তো নাজিফাই তোমার সব।
ইমাদ--- বৌ মনি আমি কিন্তু কথাটা ঠিক ওভাবে বলিনি।
ফাহাদ--- থাক তোর আর সাফাই দেওয়া লাগবেনা।।
এনিওয়ে তোরা যা বুঝিস তা কর,, আমি এই ব্যাপারে নেই।।
এই বলে ফাহাদ - ফাহমিদা দুজনেই চলে গেলো।
শিউলি বেগম ও নাজিফার উপর রেগে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলো।
নাজিফা বারবার ইমাদের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস,ফেলে --- জীবনটা এতো জটিল কেন মাঝেমাঝে বুঝে উঠতে পারিনা। যতই জীবনটাকে সহজ করার জন্য সবকিছু মেনে নেই ততই সেটা জটিল হয়ে যায়। এই জটিলতার শেষ কোথায় কে বলতে পারে।
.
.
.
রাত প্রায় সাড়ে ১২ টা,,, সবাই নিচে বসে রয়েছে, নিতুর আসার কোনো খবরেই নেই।
সালেহা বেগমের কানে যাতে খবরটা না যায় নাজিফা বারংবার তাই চেস্টা করছে।
ইমাদ সোফায় গম্ভীর ভাবে বসে রয়েছে,,,
----- আজ হয় নিতু এই বাড়িতে থাকবে না হয় আমি।
শিউলি বেগম--- তার মানে কি তুই কি আজকে ওকে বাসায় জায়গা দিবিনা???
নাজিফা ফোন টিপতে-টিপতে ইমাদের সামনে এসে ---- এরুপ কিছু করোনা যাতে মায়ের কানে সব সত্যটা চলে যায়।
মায়া--- তুমি কি এখনো ওকে ফোন করে যাচ্ছ?
---- হ্যা ফোনে রিং হচ্ছে কিন্তু ও ধরছেনা।
ইমাদ--- একটা ভদ্র বাড়ির মেয়ে এতো রাত অবদি কখনোই বাহিরে থাকেনা,,, আজ যদি মায়ের কানে এসব যায় তাহলে মা যেটুকু বেঁচে আছে সেটুকু,.....
এই বলে ইমাদ চুপ হয়ে যায়। রাত প্রায় একটা একটা শিউলি বেগম,, মায়া দুজনেই নিজেদের রুমে চলে গেছে, ফাহাদ- ফাহমিদা তো ইমাদের সাথে সেই যে কথা বলে নিজেদের রুমে ঢুকলো, ভুল করে ও আর বের হলোনা৷
নাজিফা--- ইমাদ আমি বলি কি তুমি গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ো আমি দেখছি কি করা যায়।
ইমাদ--- আমি বললাম না নাজিফা আজ হয় এই বাড়িতে নিতু থাকবে না হয় আমি।
---- প্লিজ এভাবে বলোনা, সবাইকে রাগ, বকা এগুলো দিয়ে সোজা পথে আনা যায় না,, কিছু- কিছু মানুষের সাথে নম্রতা- ভদ্রতা করে, ভালোবাসা দিয়ে ওদের কে আলোর পথে আনতে হয়।
ইমাদ --- নাজিফা প্লিজ তুমি ওকে এভাবে প্রশয় দিয়োনা, ও একটা মেয়ে তার উপর অবিবাহিত,,,, ও যদি এভাবে রাত- বিরাতে বাড়ির বাহিরে থাকে তাহলে তো লোকসমাজে আমরা চলতে পারবোনা।
---- আচ্ছা যা হবার সকালে হবে কিন্তু এখন কিছুই বলবেনা ওকে। ও বাড়ি ফিরলে যা বলার আমি বলবো।
---- কিন্তু ও বাড়ি ফিরলে তো।
.
.
.
রাত প্রায় ১.৩০ হঠাৎ কনিংবেলের আওয়াজ। নাজিফার দরজা খোলার সাথে -- সাথে মেয়েটি ড্রিংক করে হেলে দুলে নাজিফার গায়ের উপর পড়লো। নাজিফা ভালো করে ওর দিকে তাকিয়ে দেখলো-- সকালে যে ড্রেসটা পড়ে গেছে তা গায়ে নেই,,,একটা পাতলা লাল- খয়েরী গেঞ্জি আর জিন্স।
কি ব্যাপার ও আবার ড্রেস চেঞ্জ করলো কোথায়, আর এই ড্রেসেই বা পেলো কোথায়৷ দেখে তো মনে হয় মদ খেয়ে বাড়ি ফিরেছে,, কিন্তু ড্রিংক করে তো একা বাড়ি ফিরা ওর পক্ষে সম্ভব নয় তাহলে কে ওকে বাড়ি দিয়ে গেলো!!
ইমাদ কোনো কথা না বলেই নাজিফার কাছ থেকে নিতুকে ধরে দাঁড় করিয়ে কষে একটা থাপ্পড় দিলো।
নিতু কান্না করতে- করতে--- এই তুই আমাকে মারার কে??
--- আমি কে, এখনি দেখাচ্ছি আমি কে।
এই বলে ইমাদ আরেকটা থাপ্পড় দিতে গেলে নাজিফা হাতটা ধরে --- তুমি কি পাগল হয়ে গেছো??
---- হ্যা, হ্যা আমি পাগল হয়ে গেছি,,, যেই কাজটা আজ ও করেছে,,, সেই কাজটা আমি কেন দাদাভাই ও কখনো ভুল করেও করেছে কিনা সন্দেহ আছে।
---- আমি বুঝতে পারছি বাট প্লিজ আস্তে কথা বলো, আর এখন প্লিজ আর কিছুই করোনা মায়ের শরীর ঠিক নেই, তুমি কেন বুঝচ্ছ না এই ব্যাপারটা ওনি জানতে পারলে কতটা কষ্ট পাবে, ওনার শরীরের কন্ডিশন কতটা খারাপ হবে।
বড্ড জেদি ছেলেটা নাজিফার কথার গুরুত্বই দিলোনা, হাতের কাছে থাকা ডাইনিং টেবিল থেকে বড় জগের একজগ পানি নিতুর মাথায়, মুখে ঢেলে দিলো।
পানির স্পর্শে নিশার ঘোর থেকে মেয়েটি বেরিয়ে আসলো, জোরে চিৎকার দিয়ে--- তুই আমার মাথায় পানি ঢাললি কেন???
--- চুপ একদম চুপ।
নাজিফা ইমাদকে ধমকি দিয়ে--- তুমি কি চাচ্ছো বলোতো?? কতবার বললাম সকালটা হতে দেও এখন এসব বাদ দেও,,, তারপর ও তুমি আমার কথা শুনছোনা।
ইমাদ---ঠিক আছে, কালকে সকালে ওর সাথে আমার হিসাব নিকাশ হবে। জাস্ট মায়ের শরীর খারাপ এর জন্য ওকে এই বাড়িতে এখন জায়গা দিলাম।
এই বলে ইমাদ চলে যেতেই, নাজিফা নিতুর সাথে নরম করে কথা বলতে লাগলো, যাতে মেয়েটি এই মাঝ রাতে চেচাঁমেচি না করে শান্ত ভাবে নিজের ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়ে।
--- এতো রাতে বাহিরে থাকা উচিত হয়নি যাও ঘরে যাও।
অমনেই নিতু ও কোনো কথা না বলে ঘরে চলে গেলো।
নাজিফা ভাবতে লাগলো--- আমরা কতটা আল্লাহর অবাধ্য হয়ে চলি, কতটা নাফরমানি করি,, কিন্তু তবুও ওনি আমাদের দিক থেকে মুখ ফিরান না।
.
.
.
রাত প্রায় সাড়ে তিনটা বাজে,, নাজিফা সালেহা বেগমের মাথার পাশে বসে রয়েছে,,,,, হঠ্যাৎ ঘড়ির দিকে তাকিয়ে ---- সাড়ে তিনটা বেজে গেলো,,,, যাই দেখি ইমাদ ঘুমিয়েছে কিনা,, নিতুর চিন্তা করতে-- করতে ওর না আবার আরো শরীর খারাপ হয়ে যায়।
এই ভেবে নাজিফা গেস্ট রুমের দিকে যেতে লাগলো, যেহুতো সালেহা বেগম ওদের রুমে তাই ইমাদ আজ গেস্ট রুমে শুয়েছে। নাজিফা হঠাৎ দাঁড়িয়ে গেলো, আশ্চর্য কন্ঠে--- কি ব্যাপার নিতুর রুমে এখন ও লাইট জ্বলছে কেন!!!‌ এখনো মেয়েটি ঘুমায়নি, কি করছে?
নাজিফা দরজার মধ্যে কান পাততেই ও পাশ,থেকে নিতুর কান্না মাখা কন্ঠে --- প্লিজ তুমি আমাকে নিয়ে যাও, আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচবোনা৷ ফেমেলি আমার বিয়ে ঠিক করে ফেলেছে।
এই বলেই নিতু চুপ, নাজিফা বুঝতে পারলো মেয়েটি ফোনে কারো সাথে কথা বলছে।
নিতু--- তুমি কি চাও আমি আত্নহত্যা করি?
আল্লাহ এসব কি বলছে নিতু! আর কাকেই বা বলছে না আমাকে সব জানতে হবে যে করেই হোক।
.
.
সকাল বেলা পূর্ব পাশের আজানের ধ্বনিতে নাজিফা নামাজ পড়ে, চুপিচুপি নিতুর ঘরে যায়,, গিয়ে দেখে নিতু ঘুমে,,, নাজিফা বারবার ঘরের চারদিকে তাকিয়ে নিতুর ফোনটা খুঁজতে লাগলো, এভাবে কিছুসময় পার হওয়ার পর হঠাৎ চোখ পড়ে নিতুর বালিশের নিচের দিকে,, হাতটা ঢুকিয়ে যেই মাত্র ফোনটা নিবে অমনেই নিতু হাতটা ধরে ফেললো।
(চলবে)
লিখা-- আসমা আক্তার পিংকি।



শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: