তাওবার_নামাজ_পড়ার_পদ্ধতিঃ কিভাবে তওবা করতে হয়?
২ রাকাত নফল নামাজ পরে হাত তুলে আল্লাহর কাছে অনুতাপ করে পাপ ছেড়ে দিয়ে আর কখনই এই পাপ করবেন না এই প্রতিজ্ঞা করে ক্ষমা চাইতে হবে। তবে আশা করা যায় ইনশা।আল্লাহ আল্লাহ ক্ষমা করবেন
মহানবী (সাঃ) বলেন, “যে ব্যক্তি কোন গুনাহ করে ফেলে অতঃপর উঠে ওযূ করে ২ রাকআত নামায পড়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, সে ব্যক্তিকে আল্লাহ মাফ করে দেন।”
অতঃপর মহানবী (সাঃ) এই আয়াত তেলাওয়াত করেন:-
( ﻭَﺍﻟَّﺬِﻳْﻦَ ﺇِﺫَﺍ ﻓَﻌَﻠُﻮﺍ ﻓَﺎﺣِﺸَﺔً ﺃَﻭْ ﻇَﻠَﻤُﻮْﺍ ﺃَﻧْﻔُﺴَﻬُﻢْ ﺫَﻛَﺮُﻭﺍ ﺍﻟﻠﻪَ ﻓَﺎﺳْﺘَﻐْﻔَﺮُﻭْﺍ ﻟِﺬُﻧُﻮْﺑِﻬِﻢْ، ﻭَﻣَﻦْ ﻳَّﻐْﻔِﺮُ ﺍﻟﺬُّﻧُﻮْﺏَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠﻪ، ﻭَﻟَﻢْ ﻳُﺼِﺮُّﻭْﺍ ﻋَﻠَﻰ ﻣَﺎ ﻓَﻌَﻠُﻮْﺍ ﻭَﻫُﻢْ ﻳَﻌْﻠَﻤُﻮْﻥَ، ﺃُﻭﻟَﺌِﻚَ ﺟَﺰَﺍﺅُﻫُﻢْ ﻣَّﻐْﻔِﺮَﺓٌ ﻣِّﻦْ ﺭَّﺑِّﻬِﻢْ ﻭَﺟَﻨَّﺎﺕٌ ﺗَﺠْﺮِﻱْ ﻣِﻦْ ﺗَﺤْﺘِﻬَﺎ ﺍﻷَﻧْﻬَﺎﺭُ ﺧَﺎﻟِﺪِﻳْﻦَ ﻓِﻴْﻬَﺎ )
অর্থাৎ, আর যারা কোন অশ্লীল কাজ করে ফেলে অথবা নিজেদের প্রতি জুলুম করে (পাপ করে) ফেলে অতঃপর সাথে সাথে আল্লাহকে স্মরণ করে নিজেদের পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে; আর আল্লাহ ছাড়া আর কে পাপ ক্ষমা করবে? আর তারা জেনে-শুনে নিজেদের অপরাধের উপর হ্ঠকারিতা করে না। ঐ সকল লোকেদের পুরস্কার হল তাদের প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা এবং সেই বেহেশ্ত যার পাদদেশে নদীমালা প্রবাহিত; সেখানে তারা চিরকাল বাস করবে। (কুরআন মাজীদ ৩/১৩৫-১৩৬) (আবূদাঊদ, সুনান ১৫২১, তিরমিযী, সুনান, নাসাঈ, সুনান, ইবনে মাজাহ্, সুনান, ইবনে হিব্বান, সহীহ, ইবনে খুযাইমাহ্, সহীহ, বায়হাকী, সহিহ তারগিব ৬৭৭নং)তিনি আরো বলেন, “যে ব্যক্তি উত্তমরুপে ওযূ করে অতঃপর উঠে ২ রাকআত অথবা ৪ রাকআত ফরয অথবা অফরয (সুন্নত বা নফল) নামায উত্তমরুপে রুকূ ও সিজদা করে পড়ে, অতঃপর সে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, সে ব্যক্তিকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়।” (ত্বাবারানী, মু’জাম)
keyword
0 coment rios: