#নেক সন্তান লাভের আমল
সন্তান লাভের আমলঃ
কিছু দুয়া উল্লেখ করা হয়েছে, সন্তান লাভের জন্যে নবীগণ যে দুয়া করেছিলেন। এই দুয়াগুলো স্রেফ সন্তান লাভের জন্যে নয়, সন্তান গর্ভে আসার পরেও করা উচিত। যাতে সুস্থ ও সুসন্তান ভূমিষ্ঠ হয়। দুয়াগুলো পবিত্র কুরআন শরীফে আল্লাহ তায়ালা উল্লেখ করেছেন।
.
(১)رَبِّ اجْعَلْنِىْ مُقِيْمَ الصَّلٰوةِ وَمِنْ ذُرِّيَّتِى, رَبَّنَا وَتَقَبَّلْ دُعَآء
.
.
#অর্থঃ হে আমার পালনকর্তা, আমাকে নামায কায়েমকারী করুন এবং আমার সন্তানদের মধ্যে থেকেও। হে আমাদের পালনকর্তা, এবং কবুল করুন আমাদের দোয়া।
[ইবরাহীম ১৪:৪০ ]
.
(২)
رَبَّنَا هَبْ لَـنَا مِنْ اَزْوَاجِنَا وَذُرِّيّٰتِنَا قُرَّةَ اَعْيُنٍ وَّاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِيْنَ اِمَامًا
.
#অর্থঃ হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে এমন স্ত্রী ও সন্তানাদি দান কর যারা আমাদের চোখ জুড়িয়ে দেয় আর আমাদেরকে মুত্তাকীদের নেতা বানিয়ে দাও।
[আল-ফুরক়ান ২৫:৭৪]
.
**এদুটি দুয়া সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরেও করা উচিত।
(৩)
رَبِّ هَبْ لِىْ مِنْ لَّدُنْكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةًۚ اِنَّكَ سَمِيْعُ الدُّعَآءِ
.
যাকারিয়া তাঁর পালনকর্তার নিকট প্রার্থনা করলেন। বললেন,
অর্থ: হে, আমার পালনকর্তা! আপনার পক্ষ থেকে আমাকে পুত-পবিত্র সন্তান দান করুন। -নিশ্চয়ই আপনি প্রার্থনা শ্রবণকারী।
[আল ‘ইমরান ৩:৩৮]
.
(৪)
ٗ رَبِّ لَا تَذَرْنِىْ فَرْدًا وَّاَنْتَ خَيْرُ الْوٰرِثِيْنَ ۖۚ
.
.
#অর্থ: হে আমার পালনকর্তা আমাকে নিঃসন্তান রেখো না। তুমি তো উত্তম ওয়ারিস।
[আল-আম্বিয়া ২১:৮৯]
.
যাকারিয়া আ. এই দুয়া করেছিলেন, এরপর আল্লাহ তায়ালা বলেন, "তখন আমি তার ডাকে সাড়া দিয়েছিলাম আর তাকে দান করেছিলাম ইয়াহইয়া, আমি তার নিমিত্তে তার স্ত্রীর বন্ধ্যাত্ব দূর করে দিয়েছিলাম। এরা সৎ কাজে ছিল ক্ষিপ্রগতি, তারা আমাকে ডাকতো আশা নিয়ে ও ভীত হয়ে, আর তারা ছিল আমার প্রতি বিনয়ী।"
[আল-আম্বিয়া ২১:৯০]
.
(৫)
رَبِّ هَبْ لِىْ مِنَ الصّٰلِحِيْنَ
.
.
#অর্থ: হে আমার প্রতিপালক! আপনি আমাকে সৎকর্মশীল পুত্র সন্তান দান করুন।
[আস-সাফফাত ৩৭:১০০]
#আর সহবাসের পূর্বে এই দোআ পড়া
بِسْمِ اللَّهِ، اللَّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ، وَجَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا
[আল্লাহ্র নামে। হে আল্লাহ! আপনি আমাদের থেকে শয়তানকে দূরে রাখুন এবং আমাদেরকে আপনি যে সন্তান দান করবেন তার থেকেও শয়তানকে দূরে রাখুন।]
.
.
এগুলো মুখস্ত করে অথবা দেখে দেখে প্রায়ই পড়া উচিত। শুধু বাচ্চার মা পড়বেন, তা নয়। বাচ্চার বাবারও পড়া উচিত। ফরজ নামাজের পর দুয়া কবুল হয়, তখন এই দুয়াগুলো করতে পারেন। এছাড়া, তাহাজ্জুদ পড়ে এই দুয়া করা যেতে পারে।
.
এছাড়াও সন্তান গর্ভে থাকাকালীন
আপুদের উচিত বেশী বেশী
কোরআনুল
কারীম তিলাওয়াত করা, নিয়মিত
নামায।
বাচ্চা নেককার হতে মায়ের নেক কার হওয়া জরুরি।
বাচ্চা পেটে আসলে মেইন হলো গুনাহ হতে বিরত থাকার চেষ্টা করা।
৫ ওয়াক্ত নামাজ ধীরে সুস্থে সুন্দর ভাবে পড়তে হবে।
খাস পর্দা করতে হবে ঠিক ভাবে।
প্রতিদিন একটি বড় সুরা তিলাওয়াত করা উচিত হবে।
মানুষ এর সাথে আচার আচরণ সুন্দর হতে হবে।
গান শুনা, টিভি দেখা ইত্যাদি গুনাহ ছাড়তে হবে।
এবং নেক সন্তানের জন্য আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দোয়া করতে হবে।
এসময়ে
মায়েরা যে কাজগুলো করে থাকেন,
সন্তানের আচরণের উপর তার প্রভাব
পড়ে।
এ সময়ে পরনিন্দা-পরচর্চা করা, ঝগড়া
করা,
গালা-গালি করা ও অন্যান্য মন্দ কাজ
থেকে বিরত থাকা বাঞ্চনীয়।
দো'আ করি, আল্লাহ্ যেন সকল মা
বাবাকে নেককার সন্তান দান করেন।
"আমীন"
keyword :
0 coment rios: