সর্বশেষ

শনিবার

 I will increase WordPress Speed Optimization or Speed Shopify for Website Page Speed

I will increase WordPress Speed Optimization or Speed Shopify for Website Page Speed

 Are you Looking for a increase Speed Optimization Expert to Page Speed your WordPress Website or Shopify ? Great! You are in the right place. I am here Website Page Speed specialist.

To increase the speed, I am giving you some coded plugins which are suitable for full premium and lifetime use. Which will make your website super fast.

pagespeed, speed optimization, wordpress speed, website speed, wordpress

What You Will Get (FREE) : 

 1 Necessary Premium Plugins

 Wordfence security Plugins

 07 Days VIP support  


Include My services:

Speed Optimization 90% + 

Premium WordPress Plugins ( WP Rocket + Wordfence )

 HTML, CSS, and JavaScript Magnification

Fix SSL issues + HTTP to HTTPS

Minimize Redirects + Image Optimization

Database Optimization + Gzip Compression


Why you choose me?

High Quality Work & Reasonable Price. 

Unlimited Revision. 

24/7 Support. 

completed 150+ Project  

Fastest Online delivery


Note:  Please knock me and get a quick reply before place an order.

Thanks for reading, Have a great day.

Zakir_Pro

https://www.fiverr.com/zakir_pro

increase wordpress speed optimization । page speed । shopify speed optimization ।speed up wordpress website । website speed optimization । pagespeed insights । speed shopify । wp rocket । Speed up divi theme


Order Here
https://www.fiverr.com/zakir_pro/increase-wordpress-speed-optimization-or-speed-shopify-for-website-page-speed


শুক্রবার

I will collect targeted b2b lead generation for any business

I will collect targeted b2b lead generation for any business

 

I will collect targeted b2b lead generation for any business


About This Gig

Are you looking for a Targeted b2b lead generation specialist to grow your business ? Great! You are in the right place. I am the Business Lead Generation Expert here.


B2b lead generation is a highly effective and attractive strategy for attracting targeted customers. This will help you to get the main goal of your business or company by collecting emails.


*We always provide services to create leads for your target customers*

We have experienced personalities in any kind of lead generation LinkedIn . We are able to do any kind of lead generation task and 100% satisfaction, Because we have premium tools + a lot of experience. So you can start your work without any worries.


The services we provide:

  •   B2b lead generation
  •   LinkedIn, Real estate lead generation
  •   Any Kinds of Business Lead


Following format:

  1.   Business Name
  2.   Job Title
  3.   First Name
  4.   Last Name
  5.   Email Address (tested and verified)
  6.   LinkedIn Profile URL
  7.   Company Name
  8.   Company Website
  9.   Phone Number (Company if available public)
  10.   Company Address


lead generation b2b। sales । web research । sales । Business lead b2b । Email research । real estate lead generation


Thanks for reading, Have a great day.

order here . 

Openbd_iT




মঙ্গলবার

ইসলামিক রিমাইন্ডার শর্ট ভিডিও ।  mizanur rahman azhari waz 2022

ইসলামিক রিমাইন্ডার শর্ট ভিডিও । mizanur rahman azhari waz 2022


মিজানুর রহমান আজহারী,mizanur rahman azhari,mizanur rahman azhari waz,mizanur rahman azhari


 new waz,waz mizanur rahman azhari,deener seba,মিজানুর রহমান ওয়াজ ২০২২,ওয়াজ মিজানুর রহমান আজহারী ২০২২,ওয়াজ ২০২২,কিয়ামত

জান্নাত লাভের আমল ।  মিজানুর রহমান আজহারী ওয়াজ ২০২১ । ইসলামিক সর্ট ভিডিও

জান্নাত লাভের আমল । মিজানুর রহমান আজহারী ওয়াজ ২০২১ । ইসলামিক সর্ট ভিডিও


deener seba,জান্নাত লাভের আমল,জান্নাত লাভের সহজ আমল,মিজানুর রহমান আজহারী ওয়াজ,মিজানুর রহমান আজহারী নতুন ওয়াজ 2021,


মিজানুর রহমান আজহারী গজল,মিজানুর রহমান আজহারী নতুন ওয়াজ,মিজানুর রহমান আজহারী ওয়াজ ২০২১,মিজানুর রহমান আজহারী ইউটিউব চ্যানেল,মিজানুর রহমান আজহারী নতুন গজল,মিজানুর রহমান আজহারী টিকটক,মিজানুর রহমান আজহারী all waz,ইমাম মাহদী,ইমাম মাহদীর আগমন,bangla waz

শনিবার

 #হুজুরের_(______) #দ্বিতীয়_পর্ব____

#হুজুরের_(______) #দ্বিতীয়_পর্ব____

 #হুজুরের_(______)
#দ্বিতীয়_পর্ব____

"যদি বিয়ের প্রথম দিনই কোনো বর তার বউ কে জানিয়ে দেয় সে এই বিয়েতে রাজী ছিলো না বাবা-মার চাপে পরে বিয়েটা করতে বাধ্য হয়েছিলো________
তখন কেমন লাগতে পারে সেই মেয়েটির...???
"সেদিন আমায় কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে ওনিই বলে যাচ্ছিলেন.....
আমি শ্রোতা হয়ে নীরবে কথা গুলো শুনেই যাচ্ছিলাম________
বলতে বলতে এক সময় বলেই উঠল," রুম্পা কে আমি খুব ভালোবাসি। তাকে ছাড়া নিজেকে কখনো কল্পনাও করতে পারি না______আমি রুম্পা কে ছেড়ে বাঁচতে পারবো না। আমি এই বিয়েটা just মানি না_____
"এবার লক্ষ্য করলাম কিছুক্ষনের জন্য চুপ হলেন...ভাবলাম হয়তো বলা শেষ.........
" কিন্তু না থামে নি______
নিজেকে সামলাতে না পেরে এবার আরেক টি গুন আমার সামনে প্রকাশ করল........
সিগারেট টা জ্বালিয়ে ভেতর দিকে টান দিয়েই যেনো সব দুঃখ গুলো ভুলার বৃথা চেষ্টা করল________
"আবার বলা শুরু করল," তুমি একটা ভালো মেয়ে আমি চাই না তোমার জিবন টা নষ্ট হউক। তাই সব সত্য বলে দিলাময় এবার তুমিই ঠিক কর তুমি কি করবে......
এখানে থাকবে নাকি নতুন করে নিজের জীবন টা শুরু করবে....????
"আজ যেনো চোখ দিয়ে পানিও বের হতে চাচ্ছে না............
যেনো অন্তরটা পাথরে পরিনত হয়ে গেছে.......
এতটুকুই বললাম," আমার প্রতিদিনের মোনাজাতে চাওয়া ছিলো একজন দ্বীনদার আল্লাহভীরু স্বামী_____
যার সাথে আমি জান্নাতে থাকার সপ্ন দেখতাম......
ওসিলা হিসেবে যাকে আমার দ্বীন পূর্ন করায় সহায়ক ভাবতাব......
"যার সাক্ষাতে আমি আল্লাহ তা'আলা কে স্মরন করতে পারবো ভাবতাম________
"আমি এমন একজনের কাছে এমন কিছু চেয়েছি যেখানে হতাশ হওয়ার বিন্দুমাত্র কোনো কারন নেই........
❤❤আমি তো সেই সত্তার কাছে____সেই মহান রবের কাছে চেয়েছি যিনি বান্দাকে নিরাশ করেন না____
আর যা চেয়েছি তাতো শরীয়তের বিরুদ্ধে না_____আমার সেই রবের কাছে চাওয়া পর তিনি স্বামী হিসেবে আপনাকে দান করেছেন_____
" নিশ্চয় তার মর্জিতেই রয়েছে আমার জন্য সর্বোত্ত মফয়সালা______
"সেদিন ওনার কাছে বেশি কিছু চাইনি শুধু দুটি বিষয়ে ওয়াদা নিয়েছিলাম______
১)আমার দ্বীনি কাজে কখনই যেনো ওনি কোনো বাধা না দেয়।
২)ইসলামের কোনো বিষয়কে যেনো কখনই হেও না করেন......
"ওনি সেই দিন এই দুটি শর্তে ওয়াদা করেছিলেন।
" তারপর থেকে শুরু হয় আমার দর্শক হয়ে ওনার লাগামহীন জিবন-যাপন দেখা_________
"আমি ভেবেই পাচ্ছিলাম না কি করে এরূপ বেদ্বীন কে দ্বীনের পথে আনা যায়........
" দিন যত যাচ্ছিলো রুম্পার সাথে ওনার সম্পর্কটা ও ঠিক ততটাই গভীর হচ্ছিলো!!!!
"অসৎ সঙ্গ, পরক্রিয়া, সিগারেট, বদ অভ্যাস____ সম্পুর্ন সুন্নতের বিপরীত জিবন-যাপনে আসক্ত মানুষ টাকে দ্বীনের পথে আনার অনেক ইচ্ছা থাকলেও কোনো উপায় খোঁজে পাচ্ছিলাম না........
আসা যখন নিরাশায় রূপ নেয়।হতাশা যখন চরমে পৌছে_____ চেষ্টা যখন ব্যর্থতায় পরিনত হয়ে যাচ্ছালো________
" আলহামদুলিল্লাহ...!!
"আল্লাহ আমায় উপায় বের করে দিলেন______
"আল্লাহ নামে শুরু করে দিলাম বেদ্বীন কে দ্বীনের পথে আনার এক অবিনব কোশল________
" আমি কখনই তাকে বলতাম না ___ এটা আমার পছন্দ না ওটা খারাপ লাগে____বরং বলতাম এটা আল্লাহ পছন্দ করেন না____
ওটা রাসূল(সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পচ্ছন্দ করেন না।
"আমি কখনই ওনাকে বলতাম না ফজরের নামাজ পড়তে উঠেন কারন অনেক দিন নামাজ না পড়ায় উনার অন্তরটা শক্ত হয়ে গিয়েছে, তাই উঠবেন না.....বরং আমি এভাবে বলতাম," আমি ফজরে একা নামাজ পরতে উঠতে ভয় পাই....আপনি কি একটু উঠে বসবেন...??
আল্লাহ তা'আলা চাইলে তাহলে আমি নামাজ টা আদায় করতাম....!!
"নামাজ বলে কথা তাই না উঠে পারতো না....
অজু করে এসে বলতাম বসেই তো থাকবেন চাইলে নামাজ টা পড়তেই পারেন এতে আল্লাহ খুশি হবে শয়তান নারাজ হবে!!
আমার নামাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত বসে থাকতেন......
প্রথম প্রথম নামাজ পড়তেন না.......
নামাজ শেষ করে উঠে বলতাম," আপনি আজ ওছিলা হিসেবে আমার ভয় কে দূর করেছেন.....কাল কেয়ামতের দিন যে দিন সকলেই ভীতু থাকবে আল্লাহ যেনো আপনাকে সেই দিন নিরাপদ রাখেন।
এবং আপনাকে ভয় মুক্ত করেন....আল্লাহ যেনো আপনাকে বিনা হিসেবে জান্নাত দান করেন...আমিন....
"ঘুম ঘুম চোখে আমার দোয়া গুলো শুনে আমার দিকে স্পষ্ট ভাবে চেয়ে একটা মুচকি হাসি দিয়ে আবার শুয়ে পড়তেন।
এভাবে এক মাস অতিবাহিত হওয়ার পর
❤আলহামদুলিল্লাহ❤
একদিন ওনি সত্যিই আমার পাশে নামাজে দাড়িয়ে যান......
#বি_দ্র___এটা আমার জিবনী নয়_____এটা একটা আত্মলোচনা মূলক শিক্ষনীয় গল্প!!!!



 #হুজুরের(____) #প্রথম_পর্ব_ (ইসলামিক গল্প)

#হুজুরের(____) #প্রথম_পর্ব_ (ইসলামিক গল্প)

 #বিসমিল্লাহির_রহমানির_রহিম"

 #হুজুরের(____)
#প্রথম_পর্ব_____

"মাদ্রাসায় পড়ুয়া একটা মেয়ে আলেমা হবে এটাই স্বাভাবিক।
কিন্তু জেনারেল লাইনে পড়ুয়া একটা মেয়ে আলেমা হবে এটা স্বাভাবিক নয় বরং অসম্ভব প্রায়______
" মুসলিম পরিবারে জম্ম নেওয়া আর পাঁচ টা আলেমার মতো আমারো হক ছিলো আলেমা হওয়ার মতো একটা সুন্দর পরিবেশ পাওয়া। আমারো হক ছিলো অন্তরে এবং বাহ্যিক ভাবে ইসলাম কে অনুসরন করে একজন প্রাকটিসিং মুসলিমা হওয়া।
আমার বাবা-মা গরীব ঘরের সন্তান তাই তারাও তো পায়নি সঠিক ভাবে ইসলামের সকল আদেশ-নিষেধ, বিধি-বিধানগুলো কে সঠিক ভাবে জানার সুযোগ!!
তাহলে আমাকে শিক্ষা দিবে কি করে....???
"কি করে বোঝবে ইসলামের হুকুম গুলোর গুরুত্ব যদি না জানারই সুযোগ পায়...??
কি করে বোঝবে ভালো আর মন্দের তফাত যদি ভালো মন্দের বৈশিষ্টই না জানা থাকে...???
" না.....তারা জানে না এটা তাদের ইচ্ছাকৃত অপরাধ নয়....!!!
"এটা তাদের ভাগ্যের লিখন......হয়তো মহান রব এসবেই রেখেছে কল্যান!!
" মা-বাবার অনেক বড় সপ্ন ছিলো আমাকে মানুষের মত মানুষ করা তাই লেখা-পড়া করার জন্য স্কুলে ভর্তি করেছিলে!!!
"হয়তো জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার কারনেই উপলব্ধি করতে পারে নি স্কুল আর মাদ্রাসার মুল পার্থক্যটা!!
" যখন আমি আঠারো বছরের তরুণী______
আলহামদুলিল্লাহ__
তখন সন্ধান পাই স্বীয় রবের...
সত্যের....আলোর...মুক্তির.......
আলহামদুলিল্লাহ সেদিন থেকেই প্রাকটিসিং মুসলিমাহ হওয়ার অবিরাম চেষ্টা করছিলাম।
"কিন্তু আমার পরিবর্তন যেনো অনেকের হাসির কারন হয়ে দাড়ায়....!!
আমাকে পদে পদে হেও করা যেনো কারো কারো দৈনন্দিন পেশায় পরিনত হয়ে গেলো____
" এ সমাজ পারে মাদ্রাসায় পড়ুয়া সেই আলেমা কে এক সমুদ্র সম্মান উজার করে দিতে।
কিন্তু সেই সমুদ্রের এক বিন্দু পরিমান সম্মান আমায় দিতে যেনো তাদের খুব কষ্ট হয়!!
"এ কেমন বিচারে এ সমাজের মানুষের...??
" যে সকল সুবিধা পেয়ে আলেমা হয়ে পর্দা করে তখন তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে যায়....
আর যখন একজন জেনারেল পড়ুয়া মেয়ে সম্পূর্ন বিপরীত পরিবেশ থেকে নিজেকে আল্লাহর হুকুম পালোনের জন্য পর্দা আবদ্ধ রাখতে চায় তখন তাকে ঢং বলে সম্বর্ধন করে...???
"আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর হেদায়েত পাওয়ার সাথে সাথেই বদলে যায় আমার চাওয়া গুলোও......
এখন আর ধনী কোনো রাজপুত্রের সপ্ন দেখি না____
করি না কোনো রূপবান যুবকের আগমনের আসা।
" এখন একটাই সপ্নই সবসময় দেখি হুজুরের বউ হওয়া______
"আমাকে বাস্তবতা সেদিনো ছাড় দেয়নি....
যেদিন পাত্র পক্ষ প্রথম আগমন করেছিলো আমাদের বাড়ি.......
" যখন আমি কঠোর ভাবে ১৪ জন মাহরাম মানতে দৃঢ় সংকল্পে আবদ্ধ ঠিক তখনই নামধারী কিছু আলেমা কে উদাহর করে আমায় ভুলানোর চেষ্টা করা হয়.......
যেই সব নামধারী আলেমা জানে কিন্তু আমলে নেয় না তারা যখন পাত্র পক্ষ থেকে আগত সকল গায়রে-মাহরামদের সামনে অবলিলায় দেখা দিতে আসতে পারে তখন আমাকে প্রশ্ন বিদ্ধ করা হয় আমি কেনো আসতে পারি না....???
তারা আলেমা এত কুরআন-কিতাব পড়েছে তারা আসতে পারলে আমি কেনো পারবো না...??
আমি কি তাদের থেকে বেশি জানি নাকি...??
"বুকটা তখনই কষ্টে ফেটে যায় যখন আল্লাহর বিধান পালন করা না করা কোনো নামধারী আলেম বা আলেমার আমল করা না করার উপর নির্ভশীল করে তুলা হয়!!
" কিন্তু মা কে আমি সেইদিনই জানিয়ে দিয়েছিলাম পাত্র ছাড়া বিয়ের ক্ষেতে আর কোনো নন মাহরামের সামনে আসার বিধান ইসলামে নাই....তা কোনো আলেমা মানুক বা নাই মানুক তার মানা না মানা কখনই ইসলামের বিধি-বিধানের মাপকাঠি হতে পারে না......
তাই আমি পাত্র ছাড়া বিয়ের পূর্বে তার পক্ষের কোনো নন মাহরামের সাথে দেখা দেবো না।
বাবা-মা তাই মেনে নিয়েছিলো কিন্তু....
এরকম শর্তে কেউ বিয়ে করতেই আসকে রাজী ছিলো না...তাদের যুক্তি একটাই বিয়ের ক্ষেত্রে সকলেই দেখতে পারবে ......
"দিনের মন দিন যাচ্ছিলো কিন্তু এমন কথা শুনে কেউ আর বিয়ের প্রস্তাব আনেনি......
যখন আমার বাইশ বছর তখন পাড়া প্রতিবেশির কটু কথায় বাবা-মা অতিষ্ঠ হয়ে আমাকে অজান্তের এমন এক পাত্রের সাথে বিয়ে দেয়....যিনি আধুনিকতার একজন সেবক.......
বিয়ের প্রথম দিনই জানিয়ে দেন ওনি পরক্রিয়ায় আসক্ত....



 #হুজুরের(_____) #তৃতীয়_পর্ব_____

#হুজুরের(_____) #তৃতীয়_পর্ব_____

 #হুজুরের(_____)
#তৃতীয়_পর্ব_____

"বিয়ের পর এই প্রথম ওনাকে স্ব-চোক্ষে নামাজ পড়তে দেখেছিলাম______
" তাই সেই আনন্দে চোখের পানি আর আটকে রাখতে পারি নি।
"যতটা খুশি হয়েছিলাম ঠিক ততটাই ভীতু হয়েছিলাম এটা ভেবে যে," আজ আমি একা উঠে ফজরের নামাজ আদায় করতে ভয় পাই বলে ওনি রোজ আমার সাথে উঠেন......
আলহামদুলিল্লাহ নামাজ ও পড়েন.....
কিন্তু যদি আমি না থাকি আমার অবর্তমানে উনি কি তখন ফজরের আযান শুনে উঠবেন...!!
"কিছুতেই যেনো সস্তি পাচ্ছিলাম না!!
" আলহামদুলিল্লাহ....
অবশেষে উপলব্ধি করতে পারলাম ওনার সাথে মসজিদের একটা গভীর সম্পর্ক গড়তে হবে____
"ওছিলা হিসেবে গড়তে হবে মহান রব আল্লাহ তা'আলার সাথে ওনার অন্তরের এক অটুট ভালোবাসা______
তবুও ওনাকে আমি কখনই বলি নি _____
আপনাকে মসজিদে গিয়েই নামাজ পড়তে হবে!!!
বরং বলেছিলাম," আপনি নামাজ পড়েন কেনো??
ওনি বলেছিলেন," সওয়াব পাওয়ার আসায়।
তখন আমি বললাম," এটা ছাড়াও আরো একটা বড় কারন আছে হয়তো আপনার খেয়াল করেন নি........
তা হলো মহান রব আল্লাহ তা'আলার সন্তুষ্টি।
উনি হেসে বলে উঠলেন," সত্যিই তো আমি ভুলে গিয়েছিলাম_______
"তুমি যে কি করে এত কিছু মনে রাখো....!!!
" তারপর আমি ওনাকে বললাম," আমি একটা কাজ করতে চাচ্ছি আমাকে একটু সাহায্য করবেন.....!!!
ওনি অবিলম্বে বলে দিলেন," অবশ্যই" বল কই সাহায্য করতে পারি তোমায়...??
"আমি বলি নি ইং..শা..আল্লাহ বললেল না কেনো বরং বলেছি______আল্লাহ তা'আলা এরূপ বলাকে পছন্দ করেন না।
বরং কিছু করব বলার আগে ইং_শা_আল্লাহ বলা পছন্দ করেন।
" এবার একটু মুচকি হাসি দিয়ে বললেন,"ইং_শা_আল্লাহ তোমায় সাহায্য করবো।
এবার তো বল কি কাজ.........
"অতপর আমি একটি কাগজের টুকরো ও একটি কলম বের করলাম________
এবং ওনাকে বললাম এই নিন কলম আর কাগজ....
মাশ_আল্লাহ... আপনার হাতের লেখা অনেক সুন্দর......তাই আমি চাই এ কাগজে আমি যা বলব তা আপনি একটু কষ্ট করে লিখে দিন।
" ওনি বললেন okk বল____
আমি বললাম লিখুন," হে নারী যে ঈমান তোমাকে জায়নামাযে এনে দার করাতে পারে না সে ঈমান তোমাকে কি করে জান্নাতে নিয়ে দাড় করাবে!!!
ওনি চুপ করে আছেন ।____আমি বললাম কি হলো লিখুন কিছু বলতে গিয়েও না বলেই লিখলেন।
বললেন আর কিছু????
আমি: জ্বী....লিখুন...
"হে পুরুষ যে ঈমান তোমাকে মসজিদে নিতে পারে না সে ঈমান তোমাকে জান্নাতে নিবে কি করে!! ভেবে দেখেছো কি কখনো....???
ওনি এবার যেনো একটু অসস্তিতে পরে গেলেন তবুও কিছু না বলেই লিখলেন এবার আমি বললাম," এই লেখাটা দয়া করে ঐ দেয়ালটায় লাগিয়ে দিন....??
"ওনি বললেন কেনো..!!
এটা দেয়ালে লাগাতে হবে কেনো...!!!!
আমি একবারো বলি নি," আপনার জন্যই লাগাতে চাচ্ছি!! বরং বলেছি, "
"আমার ব্যস্ত জিবন যেনো আমায় আমার মহান রবের স্মরন থেকে গাফেল করে না ফেলে তাই এটা চোখের সামনেই লাগিয়ে রাখতে চাচ্ছি।
"উক্ত লেখাটা ওনার মনে অল্প হলেও ভীতির উদয় করেছিলো তা ওনাকে দেখেই বোঝা যাচ্ছিলো_______
"লেখাটা লাগানোর পরেও ওনি অনেক দিন ঘরেই ফজর নামাজ পড়তেন______
" একদি উনি অজু করে ঘরে নামাজ পড়তে অগ্রসর হচ্ছিলেন.....তখন আমি বলিনি......আপনি মসজিদে যান বরং বলেছি মহান আল্লাহ তা'আলা সুস্থ ও সামর্থবান পুরুষের জন্য ঘরে নামাজ পড়াকে পছন্দ করেন না। বরং জামাতে নামাজ পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আর জামাতের সাথে নামাজ পড়লে একাকী নামাজ আদায় করার চেয়ে সাতাশ গুন বেশি সওয়াব হয়। আপনি আল্লাহ তা'আলার সন্তুষ্টি ও সাতাশ গুন বেশি সওয়াব পেতে চাইলে মসজিদে যেতেই পারেন।
প্রথম প্রথম যায়নি।
আলহামদুলিল্লাহ অনেকদিন পরে হলেও একদিন ঠিকই মসজিদে চলে যায়........
নামাজ পরলেও ওনি সিগারেট পরক্রিয়া থেকে একেবারেই বেরোতে পারে নি তখনো______
"সেদিন যখন ঘরে বসেই সিগারেট টা জ্বালিয়ে দিয়েছিলো!!!
" আমি বলি নি এসব বাজে জিনিস বাদ দিন....
আর এসব বাইরে গিয়ে খাবেন.....
বরং বলেছি," আল্লাহ তা'আলা ও তার রাসূল(সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ জাতীয় বস্তু অপছন্দ করতেন... আর সিগারেটের গন্ধে আমার খুব কষ্ট হয়___
"ওনি সিগারেট টা ফেলে দেন নি বরং তা নিয়ে বারান্দায় চলে গিয়েছিলেন.....আল্লাহ তা'আলার নিকট অন্তর থেকে ওনার জন্য হেদায়েতের দোয়া করেছিলাম।
যখন ওনি ঘরে আসলেন তখন বললাম," আপনি আমার একটা কষ্ট ওছিলা হিসেবে দূর করেছেন____ মহান রব আল্লাহ তা'আলা যেনো আপনার ইহকাল-পরকালের সকল কষ্ট দূর করে দেন।মালক যেনো আপনাকে উভয় জাহানে সম্মানিত করেন!!
প্রভু আপনার মনের সকল নেক নিয়ত গুলো কবুল করুন____আমিন!!
"ওনি অবাক ভাবে অপলক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে ছিলেন____
ওনার তাকানো দেখে মনে হচ্ছিলো আজ জিবনের প্রথম আমাকে দেখছেন__________
" কিছু একটা বলার জন্য ঠোঁট নাড়ালেন______



 #হুজুরের(____) #চতুর্থ_পর্ব_____

#হুজুরের(____) #চতুর্থ_পর্ব_____

 #হুজুরের(____)
#চতুর্থ_পর্ব_____

"বিয়ের পর, আজ প্রথম নয় এরকম অনেক বার ওনাকে আমার দিকে এইভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখেছি!!!
যতবারই জিজ্ঞাসা করেছি এভাবে তাকিয়ে থাকার কারন কি??
কোনো নির্দিষ্ট উত্তর পাই নি!!
জবাবে কিছুক্ষন নীরব থেকে প্রতিবারই বলেছে, "এমনি..........
বিশেষ কোনো কারন নেই......
" আর একটা কথা বলত," কি করে তুমি পারো!!
"এবার জিজ্ঞাসা করেও যে নির্দিষ্ট কোনো উত্তর পাবো না______
তা যেনেও জিজ্ঞাসা করলাম," এভাবে তাকিয়ে আছেন কেনো____???
" ওনি কিছুক্ষন নীরব থেকে লজ্জার হাসি দিয়ে বলল," আমি কিন্তু সিগারেট টা নিভিয়ে দেই নি বরং বারান্দায় গিয়ে________
"আমি ওনাকে থামিয়ে দিয়ে বললাম," থাক আর বলা লাগবে না।
"মহান আল্লাহ তা'আলা আপনার দোষ গোপন রাখতে চান তবে আপনি কেনো তা প্রকাশ করে দিতে চান....???
"অবাক হয়ে বলল," আল্লাহ আমার দোষ গোপন রাখেন...!!
"আমি বললাম," জ্বী"
না হলে আপনার এমন অনেক অপ্রীতিকর বিষয় এর জন্য আপনি সকলের নিকট লজ্জিত হতেন______
তাই আল্লাহর শোকরিয়া আদায় করে বলুন,"আলহামদুলিল্লাহ"
"ওনি বললেন,
"আলহামদুলিল্লাহ"____
" কথা শেষ হতে না হতেই ওনার ফোন টা বেজে উঠল________
"ওনি রিসিভ করতে ইতস্তত করছিলেন!!
আমার বোঝতে বাকী রইল না.....এটা কুসুমের কল...!!
" আমি রুম থেকে বেরিয়ে যাই নি বরং ওনাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম আমি কি বাহিরে যাবো???
ওনি বললেন," না ঠিক আছে" এ কথা বলে নিজেই বারান্দায় চলে গেলেন।
"অনেক সময় ধরে বেশ উৎফুল্লতার সাথে ওনি মেয়েটির সাথে কথা বলতেছিল......
" ওনাকে দেখেই আমি বোঝতে পেরেছিলাম....দিন যত যাচ্ছে ওনিও মেয়েটির সাথে ততটাই জড়িয়ে পরছে। মন চায়নি বেহায়ার মত বাধা দিয়ে ওনাকে ফিরিয়ে আনি....
কিন্তু অন্তর এটাও চায় নি______
আমার বেখেয়ালের জন্য ওনি এত বড় পাপে জড়িয়ে পরুক.....
তাই সেদিনই ঠিক করলাম আজ রাতেই ওনার সাথে এ বিষয়ে কথা বলব।
"দিনের আলো ফুরিয়ে যখন রাত হলো.....
"যখন ওনার মেজাজ খিটখটে তখন নয় বরং যখন ওনার মেজাজ নরম থাকে আমি তখনই ওছিলা হিসেবে তাকে ভালো-মন্দ টা বোঝাতে চেষ্টা করি.....
" কারন গরম তেলে যত ঠান্ডা পানিই ঢালি তা ছেদ করে উঠবেই.....
যদি একটু সময় নিয়ে তেল টাকে ঠান্ডা হতে দেই তারপর যত গরম পানিই ঢালি তা ছেদ করে উঠবে না_________
"সেইদিন রাতে আলহামদুলিল্লাহ ওনার মেজাজ টা ঠান্ডাই ছিলো....
তাই আমি ওনাকে বললাম," আজ আমার বড্ড কুসুম নামের বোন টিকে দেখতে ইচ্ছে করছে আর তার সম্পর্ক জানতে ইচ্ছে করছে যদি আপনার আপত্তি না থাকে তবে দয়া করে আমাকে বোন কুসুমের একটা ছবি দেখাবেন..?
"আমার মুখে হঠাৎ কুসুমের কথা শুনে ওনি হতবাগ হয়ে গেলে____
কারন বিয়ের পর এই প্রথম আমি কুসুম সম্পর্কে ওনাকে জিজ্ঞাসা করছি .......
" কিছুক্ষন চুপ থেকে তারপর আমাকে মেয়েটির ছবি দেখালো.....
"মাশ_আল্লাহ দেখতে বেশ রূপবতী মেয়েটি তাই হয়তো নিজের বর কে ফিরাতে পারি না!!
" ছবিটা দেখতে দেখতে অ-জানতেই চোখ দুটো অশ্রুসিক্ত হয়ে উঠল।
ওনি হয়তো তা খেয়াল করেই মোবাইল টা নিয়ে নিয়েছিল.....!!
"ওনি আমায় জিজ্ঞাসা করল," কাঁদছো কেনো??
আমি এ জন্যই দেখাতে চাই নি.. !!
"আমি বললাম ও কিছু না।
" আমায় একটু বলুন না আপনাদের আলাপ কিভাবে হয়েছিলো...??
"কিছুতেই বলতে রাজী হচ্ছিলো না হয়তো ভেবেছিলো আমার শুনতে খারাপ লাগবে তাই........
" তবুও সেদিন খুব জোর করায় বলেছিলো________
ওনি বললেন, " যখন আমি কলেজে পা রাখি ঠিক সেদিনই কুসুম কে দেখি....
সেদিনই ওর প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ি।
এবং সেদিনই ওকে প্রোপোজ করি...কিন্তু ও সেদিন কোনো উত্তর দেয়নি ঠিক দুদিন পর উত্তর দিয়েছিলে।
তারপর থেকে অনেক গুলো বছর অনেক গুলো সময় কাটিয়েছি.....
সেইদিন গুলো আজো স্মরনীয় হয়ে আছে....
ওনি আরো বললেন,' কুসুম আর ওনি মিলে সংসার করার অনেক স্বপ্ন দেখতেন এবং অনেক প্লান করতেন জিবন টাকে নিজেদের মত করে সাঁজানোর
...কিন্তু____
বলেই ওনার মুখটা মলিন হয়ে গেলো.....
চুপ করে গেলেন ওনি ।
আমি বললাম,"কিন্তু কই??
ওনি বললেন, "
বাবা-মায়ের জন্য ওনার সেই স্বপ্ন পূরন করতে পারেনি।
বাবা তাকে বাধ্য করেছে এই বিয়েটা করতে...
কথা গুলো বলেই যেনো এক বিশাল কষ্ট আর আক্ষেপে কাতর হয়ে গেলেন ওনি_______
"আমি নীরব শ্রোতার মত শুধু শোনেই গেলাম___
" তারপর বললাম, "আপনি আমায় ক্ষমা করে দিন আমার জন্যই আপনার স্বপ্ন পূর্ন হয়নি...
ওনি বললেন," এখন এসব কথা বাদ দাও.....
"এবার আমি বললাম," জানেন!!!
আমি কখনই কারো প্রতি আকৃষ্ট হয়নি...
কারন আমি খুব ভালো করেই জানতাম আমি অন্য কারো আমানত.....
"বিশ্বাস করতাম আমি যদি নিজেকে হেফাজত করে তার আমানত রক্ষা করি, তাহলে সেও আমার আমানত রক্ষা করবে..........
" আমি বলি নি আমি আপনার আমানত ঠিকই রক্ষা করেছি কিন্তু আপনি তা করেন নি।
বরং আমি বলেছি, আজ আমি খুব ভালো করেই বোঝতে পারছি সেদিন আমি ঠিক ভাবে আমার স্বামীর আমানত রক্ষা করতে পারি নি।
তাই আমার ভুলের জন্যই আপনি হয়তো_____!!?
"আপনি হয়তো জানেন না, যখন আপনি কুসুম কে নিয়ে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখতেন তখন আমি আমার প্রার্থনায় আপনাকে হেফাজতের জন্য দোয়া করতাম।
অনেক ব্যস্ততার মাঝেও থমকে যেতাম এটা ভেবে," মহান রব আমার সাথে যার জুড়ি লিখেছে সে মানুষ টা এখন কোন কাজে সময়টা ব্যয় করছে???
"আরো কিছু বলতে ইচ্ছে হচ্ছিলো কিন্তু বলার শক্তি ছিলো না_____
আবেগে যেনো চোখ দুটো আজ বড্ড বেশিই অশ্রু ঝড়াচ্ছে_______
" ওনি অবাক হয়ে শুধু শোনছিলেন_______
"বলতে চাইনি কিন্তু অবশেষে বলেই ফেললাম," আমি সকল পরিবেশেই এতকাল আল্লাহর হুকুমে শুধু আপনার জন্যই নিজেকে হেফাজতে রেখেছি.......
"আমি বলিনি আমি তাকে খুব ভালোবাসি বরং বলেছি আমি আল্লাহর সন্তুষ্টি পাওয়ার জন্য আপনাকে খুব__________!!!
" ওনি বললেন খুব???
"আমি বললাম," ভালোবাসি.....!!!
"ওনি সেদিন খুব অবাক হয়েছিলেন.......
কারন বিয়ের এগারো মাস পর এই প্রথম তাকে আমি এমন কথা বলেছি।
এর মধ্যে একদিনও বলি নি...........
" আমি চাইলেই আরো আগেই বলতে পারতাম কিন্তু আমি বলি নি কারন ______



 #হুজুরের(______) #পঞ্চম_পর্ব_____

#হুজুরের(______) #পঞ্চম_পর্ব_____

 #হুজুরের(______)
#পঞ্চম_পর্ব_____

"বিয়ের প্রথম দিনই আমি ওনাকে বলে দিতে পারতাম আমি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই ওনাকে ভালবাসি_______!!
"কিন্তু আমি বলি নি....
কারন আমি খুব ভালো করেই বোঝতে পেরেছিলাম আমার প্রতি ওনার বিন্দুমাত্র ভালোবাসা ছিলো না...
আর এতটুকুও মায়াও ছিলো না....
যেটা ছিলো সেইটা শুধুই ঘৃনা, আর ক্ষোভ!!
কারন ওনি এ বিয়েতে রাজী ছিলো না।
বাবা-মায়ের জন্য বাধ্য হয়েছিলো আমায় বিয়ে করতে!!!
আমার জন্যই ওনার স্বপ্ন পূর্ন হয় নি.....
তাহলে আমি কি করেই ওনার থেকে ভালো কিছু আসা করতে পারি...!!
" না তবে নিরাশ ও ছিলাম না....
ওনি পরক্রিয়ায় জড়িত জেনে কষ্ট হয়েছে তবে ভেঙে পড়ি নি.....
কারন আমি জানতাম এই মানুষ টা সেই মানুষ যাকে আমার রব আমার জন্য নির্ধারন করেছেন।
আমার রব তো এমন নয়, যিনি অন্তরের খবর জানেন না....
বরং তিনিই একমাত্র স্রষ্টা যিনি জানেন অন্তরের খবর........
আমার চাওয়া গুলো সবই তো আমার মালিক জানতো আর ওনি এমন নয় যিনি তার বান্দার কল্যান চান না...বরং ওনিই তো সর্বোত্তম কল্যানকারী।
"আমার রব যখন আমার প্রতিদিনের প্রার্থনা শোনে ওনাকে স্বামী হিসেবে দিয়েছেন.....নিশ্চয় এতেই রয়েছে আমার সর্বোত্তম কল্যান।
" তাই বিয়ের প্রথম দিনেই আল্লাহর ইচ্ছায় মনে মনে সংকল্প করে নিয়েছিলাম.........
"ওনি যতই অন্য নারার প্রতি আকৃষ্ট থাকুক না কেনো ইং শা আল্লাহ আমি ওনাকে ফেরাবোই....
কারন,আমার সাথে ওনার সম্পর্কটা স্বয়ং আল্লাহ তা'আলা গড়ে দিয়েছেন......
আর অন্য মেয়ের সাথে হারাম প্রেম সেতো শয়তানের গড়ে দেওয়া!!
" আমি ওনাকে কখনই আটকে রাখি নি..বা একেবারে ছেড়েও দেইনি।
"কারন একটা রশি ও শক্ত করে ধরে রাখলে ছিড়ে যায়......
আর হালকা করলে পরে যায়.....আলহামদুলিল্লাহ তাই বেশি শক্ত ও করি নি বেশি ঢিল ও করি নি বরং এর মধ্যম পন্থা অবলম্বন করেছি!!!!
" যদি আমি বিয়ের প্রথম দিনই তাকে ভালোবাসি বলে চিৎকার করে কাঁদতাম তবুও এতটুকুও অনুগ্রহ ও পেতাম না তার থেকে বরং পেতাম লাঞ্ছনা!!!
কারন তখন তার মনে আমার জন্য এতটুকুও করুনা ছিলো না!!
"করুনাহীন লোকটার সামনে কাঁদা আর একটা পাথরের সামনে কাঁদা একই কথা!!
" একজন মানুষের সাথে কিছুকাল একটা প্রানী বাস করলেও তার প্রতি তার একটা মায়া তৈরী হয়........
সেক্ষেত্রে,, আমি তো মানুষ এগারোটা মাস ওনার সাথে থাকার ফলে আমার প্রতি ভালোবাসা তৈরী না হলেও ওনার এরটা মায়া তৈরী হয়েছিলে________
তাই হয়তো আমার কান্নায় ওনার মুখটা মলিন হয়ে ওঠেছিল।
"কিছুটা কষ্টও হয়তো হয়েছিলো......
কিন্তু সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা খুঁজে পায়নি!!
"আমি ওনাকে সময় দিয়েছিলাম আমার প্রতি সহানুভবশীল হওয়ার জন্য। আমি ওনার সহানুভুতি করুনা অর্জন করার চেষ্টা করেছি....
" বল প্রয়োগ করি নি।
"সেদিন রাত টা ওনার স্তব্ধতা এবং আমার নীরব কান্নায় কেঁটে গেলো_______
"না....ওনি সেদিনের পর ও পরক্রিয়া থেকে বেরিয়ে আসে নি।
তাতে কি আলহামদুলিল্লাহ আমি আসা ছাড়ি নি।
কারন অন্য মেয়ের হয়তো অনেক রূপ রয়েছে ওনাকে কাবু করার জন্য_______
আমার তা না থাকলেও এ বৈধ্য সম্পর্ক টার মাঝে রয়েছে মহান রবের রহমত।
" আলহামদুলিল্লাহ আমি ভালো করেই জানতাম আল্লাহর রহমতের কাছে বিতাড়িত শয়তানের চক্রান্ত জয় লাভ করতে পারে না।
"ওনি যখন টাকনুর নিচে কাপড় পরতেন তখন আমি বলি নি_____
"টাকনুর উপরে কাপড় পড়ুন.......
বরং আমি ওনার কাপড়টা নিজ হাতে টাকনুর উপরে ভাজ করে দিয়ে বলতাম______
" আমি চাইনা কাল-কেয়ামতের দিন আপনি লাঞ্ছিত হোন। আপনি এত বড় ক্ষতিগ্রস্থ হোন যে দয়াময় আল্লাহ আপনার দিকে ফিরে না তাকান_________
"আর আপনি যদি এমন টা চান তবেই টাকনুর নিতে কাপড় পড়বেন!!
" নয় দিন নিজ হাতে ওনার প্যান্টের কাপড় টাকনুর উপর পর্যন্ত ভেঙে দিয়েছি...
"আলহামদুলিল্লাহ....
দশম দিন নিজেই তা ভেঙে নিয়েছে!!!
"সেদিন যখন ওনি তাড়াহুড়া করে সকালে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন তখন আমি বলেছিলাম," ফেরার সময় আমার জন্য একটা জায়নামাজ, একটা তজবি, একটা সুরমাদানী ,আর বোরকা-হিজাব নিয়ে আসতে....
"এই প্রথম ওনার কাছে কিছু চাওয়াতে ওনি যতটা না অবাক হয়েছেন....তার থেকে বেশি অবাক হয়েছেন এমন জিনিস চাওয়াতে যা ঘরে পূর্বে থেকেই ছিলো।
" ওনি বললেন,"এ গুলো তো ঘরে আছে...!!
আমি বললাম," তবুও আপনি এনে দিবেন...দয়া করে....!!!
"ইং_শা_আল্লাহ....কারন টা এগুলো আনার পর বলবো......
" ওনি আর কথা না বলেই চলে গেলেন....
"রাতে এগুলো নিয়ে বাসায় ফিরলেন_____
আমার হাতে দিয়ে বললেন," এই নাও তোমার জিনিস।
এবার কারন টা বলবে তো....!!!
"আমি বললাম," ওছিলা হয়ে আপনি আমার ইচ্ছা পূর্ন করছেন.........
"মহান রব যেনো আপনার ইহকাল-পরকালে উত্তম বিনিময় দান করেন....
আমি বলি নি আপনার সকল আসা পূরন করুক......
বরং বলেছি," আমনার মনের সকল নেক আসা পূরন করুক আমিন!!
ওনি অবআক হয়েছিলেন কারন কাউকে কিছু দিয়ে এর আগে কখনই এনন দোয়া পান নি ওনি...
"অবাক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে ছিলেন!!
আমি বললাম," আপনি জানেন, কেনো এগুলো আপনাকে আনতে বলেছি.....???
ওনি বললেন, "না" কেনো??
আমি বলি নি এগুলো আনলে যাতে আপনার সওয়াব হয় তার জন্যই আনতে বলেছি...
বরং আমি বলেছি, " আমি সঠিক ভাবে জানি না আপনি কয় ওয়াক্ত নামাজ পড়েন.....
তাই আমি চেয়েছিলাম আমি আমৃত্যু ওছিলা হয়ে আপনার আনা জায়নামায দিয়ে যত ওয়াক্ত নামাজ পড়বো আল্লাহ তা'আলা যেনো আপনাকে তত ওয়াক্ত কবুলি নামাজের সওয়াপ দেয়.......আর আপনি যেনো আমার এ আমল গুলোয় শরীক হতে পারেন এবং সম-পরিমান সওয়াব পান তার জন্যই আপনার হাত দ্বারা এগুলো আনিয়েছি!!
আল্লাহ আমার নিয়ত কবুল করুক..আমিন...
"আমার কথা শোনার পর আমি ওনার নিঃতব্ধতা খেয়াল করলাম....
ভালো করে লক্ষ্য করে দেখলাম চোখেম কোনে অশ্রু বিন্দু........
হয়তো ওনার অ-জানতেই চলে এসেছে________
"পরের দিন ফজর এর সময় যখন ওনি মসজিদে যাচ্ছিলেন.....
তখন বললেন," তুমি এখন একা নামাব পড়তে ভয় পাও না...??
"বলি নি ভয় পাই না!!
বরং বলেছিলাম," তখন আমি ভয় পেতাম এটা ভেবে যে," আপনি ঘুমিয়ে থাকলে আর আমি ফজর নামাজ পড়লে।
নামাজ না পড়ার কারনে
আপনাকে না জাহান্নামের আগুনে পুড়ানো হয়....!!
"আমি কি করে ভয় না পেয়ে থাকতে পারতাম আপনাক এরূপ পরিনতির কথা চিন্তা করে বলুন...??
" আলহামদুলিল্লাহ... এখন তো আপনি নামাজ পড়েন তা হলে এখন আমি কেনো ভয় পাবো বলুন....???
"আমার কথা গুলো শুনে ওনি শুধু অবাক ই হোন নি...বরং এই প্রথম আমার হাত টা শক্ত করে ধরে বললেন_____